খোলা বাজার২৪,শনিবার, ৭ জানুয়ারি ২০১৭: সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পুটিয়া খালে শুক্রবার বিকেলে জলদস্যু বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের কাছে আত্মসমর্পন করেন ‘নোয়া ভাই’ বাহিনী প্রধান সহ ১২জন জলদস্যু। এ সময় তারা অন্ধকার জগত ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় তাদের হেফাজতে থাকা ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১ হাজার ১শ’ ৫ রাউন্ড গুলি র্যাব-৮ এর কাছে সমর্পন করে।
শনিবার পটুয়াখালীর কুয়াকাটার রাখাইন মার্কেটের মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণকারীরা হলেন- বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা নোয়া বাহিনীর প্রধান বাকি বিল্লাহ ওরফে নোয়া মিয়া (৩৭), মো. মনিরুল শেখ (৩৮), মো. মানজুর মোল্লা রাঙ্গা (৪২), মো. মুক্ত শেখ (৩৭), মো. তরিকুল শেখ (৬০), মো. আকবর শেখ (৪২), মো. কিবরিয়া মোড়ল (৪০), মো. জাহাঙ্গীর শেখ ওরফে মেজ ভাই (৪৮), মো. ইউনুস শেখ ওরফে দুলাল ঠাকুর (৪০), মো. মিলাদুল মোল্লা ওরফে কালু ডাকাত (২৮), মো. মোশারেফ হোসেন (৩৭) ও মো. আল আমিন সিকদার (৫০)।
এদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং এক হাজার ১০৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
মেজর আদনান কবির জানান, নোয়া বাহিনী অভিজ্ঞ একজন অপরাধী। সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন থানায় তাদের নামে/বেনামে একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন দস্যু বাহিনী র্যাব এর হাতে নিস্ক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি র্যাব-৮ এর ক্রমাগত একাধিক কঠোর অভিযানের কারণে নোয়া বাহিনী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে এখন দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার উজ জামানের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।