খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৯ জানুয়ারি ২০১৭: শিক্ষক, সমাজতাত্ত্বিক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, যারা পাঠ্যপুস্তক লেখা ও পরিমার্জনার সাথে যুক্ত তারা বাংলা ভাষার অগ্রসরমানতা সম্পর্কে কিছু জানে না বলেই পাঠ্যপুস্তকে বানান ভুলের এত ছড়াছড়ি। তিনি প্রশ্ন রাখেন, পাঠ্যপুস্তক কাদের দিয়ে লেখানো হয়, কারা পরিমার্জনা করে?
প্রভাষ আমিনের সঞ্চালনায় এটিএন নিউজের নিয়মিত অনুষ্ঠান নিউজ আওয়ার এক্সট্রা’য় ‘ভুলে ভরা পাঠ্য বই!’ বিষয়ক আলোচনায় তিনি একথা বলেন। এছাড়া ছিলেন শিক্ষা প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, বাংলাভাষায় শব্দের অভাব নাই। সেটা ভুল হতে পারে। কিন্তু কসুমকুমারী দাসের কবিতা বদলে দেওয়াকে তো ভুল বলা যাবে না। এখানে অনেকগুলো ভুল ধরা পড়েছে। আমি মনে করি, সরিষার মাঝেই ভুত লুকিয়ে আছে। সরিষা মানে যেভাবে পাঠ্যবই লেখা হয়। আমাদের ভুলগুলো কি ধরনের তা একটা শ্রেণীকরণ করা দরকার। বিজ্ঞানের প্রথম কাজ শ্রেণীকরণ করা। কোনটা কোন ধরনের ভুল সেটা চিহ্নিত করা। কতগুলো ভুল আছে যেগুলো হলো ধৃষ্টতা আর কতগুলো ব্যবসা যেটা আমরা কেউ বলছি না।
তিনি বলেন, আমরা জানি, সরকার বিনামূল্যে যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছে তার পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এই বইগুলো কে লেখেন, কে পরিমার্জন করেন? যাদের নাম আছে। যারা পরিমার্জনা করেন তারা বাংলা ভাষার অগ্রগতি সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। এখন বই কেউ এভাবে লেখে না। এটা আগে লেখা হতো। যারা নিজেরাই ভাষা, বানান পরিবর্তন সম্পর্কে জানে না তাদেরকে কিভাবে পরিমার্জনার দায়িত্ব দেওয়া হয়? লেখার বানানে ভুল থাকতে পারে, সেটা আমার আপনারও হতে পারে। কিন্তু স্কুলে কোন বানানটা শেখানো হবে তার একটা নিয়ম থাকতে হবে।