Fri. Sep 19th, 2025
Advertisements

খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৭: 12ভারতীয় তিন টিভি চ্যানেলের বাংলাদেশে সম্প্রচার বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি চলছে।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের হাইকোর্ট বেঞ্চে চলমান এই আইনী লড়াইয়ে আজ বুধবার থেকে অংশ নিচ্ছেন স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলার কর্তৃপক্ষ।
আজ স্টার জলসা, স্টার প্লাসের পক্ষে রুল শুনানিতে অংশ নিবেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু। অপরদিকে জি-বাংলার পক্ষে শুনানি করবেন ব্যারিস্টার সামসুল হাসান।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সামসুল হাসান বলেন, ‘জি বাংলার বাংলাদেশের পরিবেশনকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশন ওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে রুল শুনানিতে পক্ষভূক্ত হতে আমাদের আবেদন আদালত গ্রহণ করেছে। আমি এবং আমার টিম আজ রুল শুনানিতে অংশ নিব।’
ওই কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু জানান, স্টার জলসা ও স্টার প্লাসের বাংলাদেশের পরিবেশনকারী প্রতিষ্ঠান ডিজি জাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেডের পক্ষে রুল শুনানিতে অংশ নিতে আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু হাইকোর্টে ওকালতনামা দাখিল করেছেন।
এর আগে গত ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি হাইকোর্টে ভারতীয় তিনটি টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা বন্ধে জারি করা রুলের শুনানি হয়েছে।
তিন দিনের শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী মো: একলাস উদ্দিন ভূইয়া আদালতে বলেছেন, ভারতীয় এই চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত বিভিন্ন ধারাবাহিক সিরিয়াল বাংলাদেশের সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ ধ্বংস করছে। এর স্বপক্ষে তিনি পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেছেন।
২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে ভারতীয় এই তিন টিভি চ্যানেল বন্ধে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়।
এর আগে ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন। এতে ভারতীয় সকল চ্যানেল বন্ধে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয় ।