খােলা বাজার২৪, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে।
বাংলাদেশে গ্রাহকদের চাহিদা ও সন্তুষ্টিকে মাথায় রেখে ডিভাইসে অভিনব প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়ে আজকের এই অবস্থানে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে বাংলাদেশের মোট মোবাইল বাজারের ৩৭ শতাংশ দখল করে আছে স্মার্টফোন। এতে বিক্রির সংখ্যা বিচারে হুয়াওয়ে দখল করে আছে ১৫.৫ শতাংশ। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের জিএফকে জরিপের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের নভেম্বরে আর্থিক মূল্যের বিচারে হুয়াওয়ের দখলে ছিল ১৮.৯ শতাংশ যা ডিসেম্বরে বেড়ে হয়েছে ২১.৪ শতাংশ। চ্যানেল বিস্তৃতি, নতুন ডিভাইস উন্মোচন এবং আকর্ষণীয় অফারের কারণে বাংলাদেশে এ অভাবনীয় সাফল্য আনতে সক্ষম হয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।
গত বছরের ডিসেম্বরে মধ্যম পর্যায়ের ফ্ল্যাগশিপ মডেল জিআর-৫ ২০১৭ উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। উন্মোচনের মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ডুয়েল লেন্স ক্যামেরার হ্যান্ডসেটটির জন্য ৫,০০০ অগ্রিম বুকিং হয়েছিল। উক্ত হ্যান্ডসেটটির অভাবনীয় সাফল্য হুয়াওয়েকে বাংলাদেশের বাজারে কয়েক ধাপ সামনের দিকে নিয়ে গেছে।
জিএফকের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যম পর্যায়ের ডিভাইসগুলো (২০০-৩০০ মার্কিন ডলার) দ্রুতগতিতে বাজার দখলের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই দামের মধ্যে দেশের বাজারে অন্যান্য প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পেছনে ফেলে ৪৫ শতাংশ বাজার দখল করেছে হুয়াওয়ে।
এ প্রসঙ্গে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ডিভাইস বিজনেসের ডিরেক্টর ইংমার ওয়্যাং বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের পেছনে ক্রেতাদের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে আমরা বিশ্বাস করি। বাজেটের মধ্যে আমরা ক্রেতাদের সেরা পণ্যটি দেয়ার চেষ্টা করি যেখানে মানের দিক থেকে কোনো আপোষ করি না। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে হুয়াওয়ে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। গ্রাহক ও ডিভাইসে নতুনত্ব নিয়ে আসার ব্যাপারে আমাদের প্রতিশ্র“তির পাশাপাশি প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ মনোভাবই এর প্রধান কারণ। বাংলাদেশের স্মার্টফোনের বাজার আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ২০১৭ সালে অভিনব ও উন্নতমানের ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসার মাধ্যমে গ্রাহকের চাহিদা মেটানোই আমাদের লক্ষ্য থাকবে।’
বর্তমানে বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ড হিসেবে স্থান করে নিয়েছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের পর্যালোচনা অনুযায়ী, গত ২০১৫ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ২৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।