খােলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ আর অ্যাডলফ হিটলারের সম্পর্ক অনেকটাই জনক আর সন্তানের মতো। হিটলার পরিচালিত বর্বরতা আর নির্যাতন ইতিহাসে তাকে একজন নিকৃষ্ট নেতারই পরিচয় দিয়েছে। যে কারণে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জার্মানী তাকে ভুলতে চেয়েছে। নিষিদ্ধ হয়েছে তার দল ও আদর্শের প্রচার।
যুদ্ধকালীন ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে হিটলার যে ফোনটি ব্যবহার করতেন সেটির নাম দেয়া হয় ‘ডিভাইস অব ডেসট্রাকশন’ বা ‘ধ্বংসের যন্ত্র’! ইতিহাসবিদদের মতে, এ ফোনের মাধ্যমেই লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করেছেন হিটলার। চলেছে ধ্বংসযজ্ঞ।
প্রশ্ন উঠতে পারে, হঠাৎ হিটালারের ফোন নিয়ে এতো কথা কেন? কারণ আর কিছুই না, কুখ্যাত ফোনটি যে এ মাসের শেষের দিকে নিলামে উঠবে। ধারণা করা হচ্ছে, হিটলারের ধ্বংসের যন্ত্রের দাম উঠতে পারে ৩ লাখ ডলার পর্যন্ত। খবর সিএনএন’র।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের ‘আলেক্সান্দার হিস্টোরিক্যাল অকশন্স’র মতে, ফোনটি সর্বকালের সর্ববৃহৎ অস্ত্র যা গোটা বিশ্বকে এক দারুণ পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শেষ দুই বছর এটা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেন হিটলার।
হিটলারের ফোনটি দেখতে একেবারেই সাধারণ। লাল রংয়ের ফোনটিকে দেখলেই মনে হয় যেন কোনো অশনি সংকেত বহন করছে। রং চটা ফোনটির ভেতরের কালো অংশ বেরিয়ে এসেছে। আর ফোনটির পেছনের দিকে খোদাই করা রয়েছে হিটলারের নাম। আরো খোদাই রয়েছে নাৎসিদের প্রতীক চিহ্ন।
হিটলারের ফোনটি বানিয়েছিল বিখ্যাত বৈদ্যুতিক পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিমেন্স।