Wed. Jun 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

52খােলা বাজার২৪, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ :  ভারত যেখানে রানের পাহাড় গড়েছে সেখানে লিড নেওয়ার চিন্তা করা পাগালামি ছাড়া আর কিছু নয়। যেখানে দরকার উইকেটে টিকে থেকে সময় কাটানো, সেখানে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের রান তোলার তাড়াহুড়া দেখে অবাক হয়েছেন সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্লেষকরাও। তামিম বিশ্রীভাবে রানআউট হওয়ার সময় সুনীল গাভাস্কার তো বলেই ফেললেন, এই বলে দুই রান নেওয়ার কোনো মানে আছে? অসংখ্য ভুলের পরও অধিনায়ক মুশফিক আর তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের লড়াইয়ে ৬ উইকেটে ৩২২ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ।
তামিমকে হারিয়ে দিনের শুরু হয় বাংলাদেশের। ২৫ রান করার পর অহেতুক কুইক রান নিতে গিয়ে রানআউটের শিকার হন এই ড্যাশিং ওপেনার। এরপর দ্রুত ফিরে যান মমিনুল এবং মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। দল যখন মহাবিপদে তখন হাল ধরেন সাকিব আল হাসান এবং অধিনায়ক মুশফিক। দুজনে মিলে ১০৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন। সাকিব এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। অনেকেই যখন ওয়েলিংটনের সেই ঐতিহাসিক জুটির প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছিলেন তখনই ৮২ রানে চরম বাজে একটা শট খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব। অথচ আগেই বলেছি, দ্রুত রান তোলার চেয়ে তখন বেশি দরকার উইকেটে টিকে থাকা। সাকিব সেটা পারেননি। তার ১০৩ বলে ১৪ বাউন্ডারিতে সাজানো ইনিংসটি শেষ হয় প্রতিদ্বন্দ্বী রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে উমেশ যাদবের তালুবন্দী হয়ে।

সাকিবের পর ক্রিজে আসেন সাব্বির রহমান। এসেই তিনি ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছেন। ২ বাউন্ডারিতে ১৬ রান করে রবিন্দ্র জাদেজার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। বাংলদেশের সামনে তখন অলআউট হওয়ার শংকা। সেই সঙ্গে সামনে আছে ফলো-অনের লজ্জার ভয়। এই বিপদের মুহূর্তে উইলো হাতে রুখে দাঁড়ালেন মেহেদী মিরাজ। তার বোলিং জাদুকরী হলেও, ব্যাটিং নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফুলঝুড়ি ছোটানো মিরাজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কিছুতেই নিজেকে অলরাউন্ডার হিসবে প্রমাণ করতে পারছিলেন না। অবশেষে পারলেন। মুশফিকের সঙ্গী হয়ে অসাধারণ এক জুটি গড়লেন তিনি। তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তথা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
শুরু থেকেই ধীরগতিতে ‘পিওর টেস্ট’ খেলতে থাকা মুশফিক সাকিবের আউটের পর আরও সতর্ক হয়ে যান। ১৩৩ বলে ৬ বাউন্ডারিতে পূরণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত মুশফিক ৮১ রানে এবং মেহেদী মিরাজ ৫১ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। বাংলাদেশ এখনও ৩৬৫ রানে পিছিয়ে আছে।