খােলা বাজার২৪, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: গেল বিপিএলে শেষ ওভারের দারুণ জাদু দেখিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। নিশ্চিত হারা দুটি ম্যাচ প্রতিপক্ষের হাতের মুঠো থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন এই অফস্পিনার। বিপিএলে খেলার সূত্রে সেই জাদু ড্যারেন স্যামির মাথাতেও হয়তো ছিল। তাই শেষ ওভারটা মাহমুদউল্লাহর। জিততে পেশোয়ার জালমির লাগে ৬ বলে ৭ রান। কিন্তু সামনে তখন রুদ্রমূর্তির শহীদ আফ্রিদি। ওভারের প্রথম দুটি বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪ বল হাতে রেখে রোমাঞ্চকর ম্যাচটিতে কুয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে হারিয়ে দিল ২ উইকেটে।
শনিবার পাকিস্তান সুপার লিগে দুবাইয়ে রাতের দ্বিতীয় ম্যাচটিতে ছিল ভিন্ন এক লড়াই। জালমিতে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। গ্ল্যাডিয়েটর্সে মাহমুদউল্লাহ। তিন বাংলাদেশির লড়াইটা ম্যাচের ঠিক শেষ ওভারে গিয়ে ঠেকে মাহমুদউল্লাহ-আফ্রিদি দ্বৈরথে। সেখানে আফ্রিদির কাছে একদমই পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। তারই জমিয়ে তোলা ম্যাচে তার ওভারেই হারের আক্ষেপ টাইগার অফ স্পিনারের।
কুয়েটা ১২৮ রান করেছিল। জেতার মতো স্কোর না। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর তিন আঘাতে ৫২ রানে ৬ উইকেট হারানো দল হয়ে যায় জালমি। তামিম ইকবালকে (৭) মাহমুদউল্লাহর শিকার দিয়েই কুয়েটার উইকেট তোলা শুরু। তারপর হারিয়ে বসা উপাধি বুম বুম নিয়ে ফেরেন আফ্রিদি। ২৩ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে ফিরেছেন জয়ের মালা গলায়। ১৯.২ ওভার। ৮ উইকেটে ১৩০।
কুয়েটা টানা দুই ম্যাচ হারল। টানা দুই ম্যাচে জয় জালমির। আর এই ম্যাচে মাহমদুউল্লাহ বনাম তামিম-সাকিব লড়াইটাও দেখার ছিল। সেখানে একে অন্যকে পারফরম্যান্সে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারও ছিল। সেই হিসেবে ব্যাট হাতে প্রথমবার পিএসএলে ডাক মারা মাহমুউদউল্লাহ কিন্তু বল হাতে এগিয়ে। তামিমকে খোলস থেকে বের হতে না দিয়ে আউট করেছেন। শোয়াইব মাকসুদ (০) ও ড্যারেন স্যামির (০) মতো বিপজ্জনক দুই ব্যাটসম্যানকে এক ওভারে তুলে নিয়েছেন।
তার হাত ঘুরেই অল্প রানের পুঁজি বাঁচাতে ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ফেরে জালমি। সাকিব আল হাসান প্রথম বলেই রান আউট। এরপর প্রফেসর মোহাম্মদ হাফিজ ও আফ্রিদি আশাটা ধরে রেখে দলকে এগিয়ে নেন। হাফিজ ২২ রান করেছেন। ধসে বাধ দিয়ে ফিরেছেন। কিন্তু আফ্রিদির তোপের মুখেও আইপিএল নিলাম কাঁপানো টাইমার মিলস ম্যাচটা ধরেই ফেলেছিলেন। ১৯তম ওভারে উইকেট পেলেও হাসান আলি এসে দুই বাউন্ডারি হাঁকালেন তাতেই ক্ষতি। ম্লান মিলসের মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট পাওয়াটাও।
এর আগে কুয়েটার ব্যাটিংয়ে রাশ টেনে ধরে রেখেছিল সাকিবদের জালমি। প্রথম ওভারেই ফিল্ডারের কারণে একটি উইকেট পেলেন না সাকিব। তাতে রিলে রুশো (৩৮) ও কেভিন পিটারসেন (৪১) ৮৬ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি গড়েন। কোটার ৪ ওভার বল করতে পেরেছেন সাকিব। শেষ ওভারে রুশোকে শিকার করেছেন। ১টি মেডেন দিয়ে ২৫ রানে ১ উইকেট। মাহমুদউল্লাহ ০। জেতার পুঁজি পায়নি জালমি।
কিন্তু ব্যাটেও আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সাকিব ও তামিমের জ্বলে ওঠার দরকার ছিল। তামিমের ৭, সাকিবের ১ ছাপিয়ে মাহমুদউল্লাহর ৩.১-০-৩১-৩ ভালো। যদিও শেষ ওভারের জাদু দুবাইয়ে দেখাতে পারলেন না এই অলরাউন্ডার!