খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০১৭ : জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে দেখা গেছে সর্দি, কাশিসহ টাইফয়েড জ্বরের প্রাদূর্ভাব। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ দিন ব্যাপী এই জ্বরের প্রকোপে দিশেহারা রোগী ও অভিভাবকরা। বাড়িতে দীর্ঘ দিন চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ না হওয়ায় অভিভাবকরা এসব রোগীদের ভর্তি করিয়ে দিচ্ছেন সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে। রোগী ও রোগীর অভিভাবকরা জানান, এই দীর্ঘ মেয়াদী জ্বর এর আগে আর কখনো দেখা বা শোনা যায়নি।
শুধু জ্বরই নয় এ ব্যাধিতে আক্রান্ত অধিকাংশই রোগী এখন টাইফয়েড জ্বরেও আক্রান্ত হয়েছেন বলে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খবর পাওয়া গেছে। ৮/১০ দিনেও সুস্থ না হওয়ায় তারা সরকারি হাসপাতাল বা নিকটস্থ বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীরা জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শ মত রক্ত, প্রস্বাব, মল ইত্যাদি পরীক্ষা শেষে তাদের সকলেরই টাইফয়েড রোগ ধরা পরেছে।
জয়পুরহাট মডার্ন জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আনোয়ার হোসেন জানান, এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে আর আগের মত কাজ হচ্ছে না। কারন হাতুরী বা পল্লী চিকিৎসকদের পরামর্শে, না হয় ঔষধ বিপননীগুলো থেকে রোগীরা নিজেদের পছন্দ মত এন্টিবায়োটিক সহ বিভিন্ন ঔষধ সেবনের করে থাকেন। আর সেই সব ঔষধের কোর্স শেষ না করেই কেবল রোগমুক্ত হলেই অধিকাংশ অসচেতন মানুষ ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দেন। ফলে পরবর্তীতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিবায়োটিকেও সুফল পাওয়া যায় না। এতে অন্যান্য রোগের মতই সহজে ভালো টাইফয়েড জ্বরও হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী।
বাস্তবতা স্বীকার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের ত্বত্তাবধায়ক ডাঃ খুরশিদ আলম জানান, খাদ্য, পানি ও মানুষসহ জীব-জন্তুর মল বাহিত এক ধরনের জীবানু থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমনের ফলে টাইফয়েড জ্বর নামক এ রোগটির প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুল আহসান তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে এখনো কোন পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে না আসলেও রোগটি সম্পর্কে খবর পাওয়া গেছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে তিনি আরো বলেন- রোগটির লক্ষন, কারন ও প্রতিষেধক বিষয়ে ব্যাপক গনসচেতনার জন্য ইতোমধ্যেই প্রচার-প্রচারনা চালানো হচ্ছে।