Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

hhhhhhhhhhhhhhhhhhhhছিনতাই থেকে শুরু করে নানা অপরাধ কাজের সঙ্গে জড়িত হিজড়ারা। তাদের অত্যাচারে এমনিতেই অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। এবার নতুন কৌশলে চাঁদাবাজি শুরু করেছে তারা। অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করে ঢাকার এমন কোনো স্থান পাওয়া যাবে না, যেখানে তাদের আনা-গোনা নেই। চাঁদাবাজির ধরনও বদলেছে তারা। এখন চলন্ত বাসগুলোতে উঠে যাত্রীদের চাঁদা দিতে বাধ্য করছে তারা। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রাবাহী বাসে তাদের উৎপাত বেড়েছে সীমাহীন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসে উঠে যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করে হিজড়ারা। ভাল পোশাক পরা যাত্রী দেখলেই বলে উঠে ‘আমরা তোমাদের বোন আমাদের টাকা দিতে হবে। আর কেউ টাকা দিতে না চাইলে বিশেষ ভঙ্গিতে হাততালি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রকাশ্যেই কাপড়-চোপড় খুলে ফেলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে তারা। এতে টাকা দিতে বাধ্য হয় বাসে থাকা যাত্রীরা।

সন্ধ্যার পরই রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলিতে ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, অসামাজিক কার্যকলাপসহ একাধিক অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে হিজড়ারা। ঢাকাসহ সারাদেশে হিজড়াদের রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। হিজড়াদের পাশাপাশি চাঁদার কোটি কোটি টাকাও নিয়ন্ত্রণ করে এই সিন্ডিকেট।
গত ১৮ই মার্চ আবদুল্লাহপুর থেকে সেবা পরিবহনে আসেন রহিম নামে এক যাত্রী। তিনি বলেন, বাসটি বিমানবন্দরে থামার সাথে সাথে কয়েকজন হিজড়া বাসে উঠে। এরপর প্রত্যেক যাত্রীর কাছে টাকা চাইতে থাকে। যারা টাকা দিতে চায়নি; তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। হিজড়াদের এমন আচারণে আমরা সবাই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। এ রকম অবস্থা থেকে মুক্তি চাই আমরা।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৬০ হাজার হিজড়া রয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকায় রয়েছে দেড় হাজার। এছাড়া হিজড়া বানানোর কারখানা রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ও হাসপাতালে। আর রাজধানীতে রয়েছে ১০টি সিন্ডিকেট। এর মধ্যে ডেমরা-শ্যামপুর-ফতুল্লা এলাকায় লায়লা হিজড়া; শ্যামলী-মোহাম্মদপুর-মিরপুর এলাকায় হামিদা হিজড়া; সাভার-ধামরাইয়ে মনু হিজড়া; সায়েদাবাদ-মতিঝিলে আবুল হিজড়া; পুরান ঢাকায় দিপালী হিজড়া; উত্তরায় নাজমা হিজড়া এবং ফার্মগেট-চন্দ্রিমা উদ্যান-গুলশান এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে হায়দার ও স্বপনা হিজড়া।

এ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে নবাগত শিশুর বাড়িতে গিয়ে নাচের নাম করে জোর করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও নতুন কিছু নয়। যুগ-যুগ ধরে হিজড়াদের টাকা তোলার এই রীতি চলে আসছে। মানুষও সাধ্যমতো তাদের টাকা ও বিভিন্ন উপহার দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে হিজড়াদের আচরণ বদলে গেছে। এখন রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে দোকানে দোকানে গিয়ে মানুষকে টাকার জন্য নাজেহাল করছে তারা।
অনেকের অভিযোগ, হিজড়াদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ বিষয় জানতে চাইলে ডিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, অভিযোগ আসলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।