খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০১৭: নীলফামারীর ডোমারে তিন যুগ পুর্বের বিক্রিত জমি নিয়ে বিবাদের জেরে সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের মনসা মন্দিরের চালা ভাংচুরের অভিযোগ তুলেছে জমি ক্রেতার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সব পারিবারিক বিষয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের সাম্প্রাদায়িক ইস্যু তৈরীর চেষ্টাকে ঘিরে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ভাদুর স্কুল এলাকায়। এলাকাবাসী জানায়, ওই এলাকার জনৈক জসিয়ুর রহমান ১৯৮৪ সালে একই এলাকার বসন্ত কুমার রায়ের ছেলে শান্তিরামের কাছ থেকে ০৭ শতাংশ জমি কিনে নেয়। পরবর্তিতে ১০ বছর পর ১৯৯৪ সালে একই এলাকার ইব্রাহিম আলীর ছেলে আব্দুল কাদের ওই জমিটি কিনে নেন। অদ্যাবদি আব্দুল কাদের সে জমিতে ভোগ দখলে রয়েছেন এবং ওই জমির পাশ্ববর্তী জমিতে কাদেরের পুকুর থাকায় তিনি নিয়মিত সেই জমি দেখাশোনা ও পরিচর্যা করে আসছেন। ঘটনার দিন শনিবার বিকালে ওই এলাকার হরিবলার ছেলে তুলারাম রায় আব্দুল কাদের এর অনুপস্থিতিতে তার জমিতে গরু রাখার বাঁশের চালা নির্মান করে। আব্দুল কাদের প্রতিদিনের ন্যায় পুকুর দেখতে গিয়ে গরু রাখার চালা নির্মান দেখতে পেয়ে মৌখিকভাবে বাধা দেয়। এসময় রমেশ ও তার ছেলে বাচ্ছাউ এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। আব্দুল কাদের ঘটনাস্থল ত্যাগের ঘন্টা দুয়েক পরে সন্ধ্যার দিকে তুলারামের পরিবার এলাকায় রটাতে থাকে তাদের বাড়ীর পার্শ্ববর্তী মনসা মন্দিরের চালাটি আব্দুল কাদের ভেঙ্গে দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
নানা প্রশ্ন উঠেছে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে ঘিরে। এলাকাবাসী মফিজার, মজিবর, আলতাফ, রশিদুল ইসলাম সহ অনেকেই জানান, আব্দুল কাদেরের জমিতে তুলারাম গরু রাখার জন্য অবৈধভাবে বাশের চালা নির্মান করছেন। আব্দুল কাদের এ কাজে তুলারামকে বাধা দিয়ে চলে আসে। হিন্দু সম্প্রাদায়ের লোকজন নিজেরাই সেই মন্দিরের চালাটি ভেঙ্গে দেয়। তুলারামের বউমা মল্লিকা ও তার স্ত্রী মেনোবালা জানায়, আব্দুল কাদের চুপিসারে এসে মন্দিরের চালাটি ভেঙ্গে দিয়ে চলে যায় আবার এক সময় জানায় আব্দুল কাদের গালিগালাজ করতে করতে এসে মন্দিরের চালাটি ভেঙ্গে দিয়ে চলে যায়। তাদের একেক সময় একেক বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রকৃত ঘটনাকে ঘিরে। আব্দুল কাদের জানান,সেখানে আমার জমি এবং পুকুর রয়েছে। আমি প্রতিদিনই জমি এবং পুকুর পরিচর্যার জন্য যাওয়া আসা করি। তারা আমার জমিটুকু আত্বসাতের জন্য নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকছেদ আলী তাদের উভয় পক্ষে জমি নিয়ে বিবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে প্রাথমিকভাবে দেখে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।