Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

4kখােলা বাজার২৪।। বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০১৭: রাজধানীর শাহবাগের নাহার প্লাজায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা এবং লাশ ২৬ টুকরা করার ঘটনায় একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই আসামি হলেন সাইদুজ্জামান বাচ্চু (৩২)। জামিনে গিয়ে তিনি এখন পলাতক রয়েছেন। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মাহমুদা আক্তার বলেন, রুমি নামের ১৫ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন আসামি সাইদুজ্জামান। পরে তাঁর লাশ ২৬ টুকরা করেন। এ মামলার একমাত্র আসামি সাইদুজ্জামান। মামলায় ২৩ জনের মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ জুন হাতিরপুলের নাহার প্লাজার ১৩তলায় ১৩০৮ নম্বর কক্ষে এই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। সোনালি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক সাইদুজ্জামান ওই কিশোরীকে ডেকে আনেন। ওই কক্ষেই তাঁকে ধর্ষণ করে হত্যা করেন। পরে দা দিয়ে ওই কিশোরীর মাথা ও দেহের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন করে জানালা দিয়ে পাশের গলি, নাহার প্লাজার পাশে নিজামউদ্দিনের বাসার ছাদ ও বাথরুমের কমোডে ফেলে দেন।

তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরে আদালত ২০১৩ সালের ২০ মে এই মামলার বিচার শুরু করেন। আসামি সাইদুজ্জামান গত বছরের ২৬ অক্টোবর জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালত এই ঘটনাকে সমাজের জঘন্যতম অপরাধ আখ্যায়িত করে বলেছেন, এ অপরাধের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রুমির বাড়ি ফরিদপুর। আসামি সাইদুজ্জামানের বাড়িও ফরিদপুরে। হত্যার ঘটনার দুই বছর আগে মুঠোফোনের মাধ্যমে সাইদুজ্জামানের সঙ্গে রুমির পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাঁদের নিয়মিত কথা হতো। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সাইদুজ্জামান রুমিকে তাঁর মিরপুরের বাসা থেকে ডেকে আনেন। পরে সাইদুজ্জামান নাহার প্লাজায় তাঁর নিজের অফিসকক্ষে রুমিকে নিয়ে প্রবেশ করেন।