Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

8kখােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭: সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় এরশাদ ও সরকারের তিনটি আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ০৯ মে রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১২ এপ্রিল) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ধার্য করেন। আদালতে এরশাদের পক্ষে ছিলেন শেখ সিরাজুল ইসলাম। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

গত ২৩ মার্চ নির্ধারিত দিনে সাজা বাড়াতে সরকারের করা আরও দু’টি আপিল বিচারাধীন থাকায় ওই মামলায় তিন বছরের সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের আপিলের রায় ঘোষণা করেননি বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চ। এরশাদের সাজা বাড়াতে ১৯৯২ সালে করা আপিল দু’টি করেছিল সরকার (নম্বর ৫ ও ৬)। পরে মামলার সব নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন আদালত।

গত ২৭ মার্চ আপিল শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চটি গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরে আবেদনগুলো এ কোর্টের কার্যতালিকায় এলে সাজা বাড়াতে সরকারের আপিলে পক্ষভ‍ুক্ত হতে আবেদন জানায় দুদক। গত ৩০ মার্চ ওই আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।

এরপর এরশাদ ও সরকারের তিনটি আপিলের শুনানি একসঙ্গে নেওয়া হয়।

১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ০৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় ১ কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

১৯৯২ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন এরশাদ।

২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় মামলার বাদী দুদক। ওইদিন আপিলে পক্ষভুক্ত হতে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

গত বছরের ২২ আগস্ট এ মামলায় আপিল শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানায় দুদক। আবেদনটি কয়েক দফা কার্যতালিকায় এলেও মামলার নথি না আসায় শুনানি শুরু হয়নি।

পরে গত বছরের ১ নভেম্বর শুনানির দিন ১৫ নভেম্বর নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। ওইদিন এরশাদের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে ৩০ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর শুরু হয়ে এ মামলার আপিল শুনানি শেষ হয় গত ০৯ মার্চ।