Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

24খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭:  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকার বেত্রাঘাতে ৯ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদেরকে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাঁদখানা বেগম নূরুন্নেছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিফিনের সময় শিক্ষার্থীরা খেলা খেলছিল। খেলার সময় শিক্ষার্থীদের চিৎকারে স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা সাদিয়া আক্তারের শিশু সন্তান ঘুম থেকে জেগে উঠার অপরাধে ৫ম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীকে ক্লাশ রুমে ডেকে নিয়ে কাঁচা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে বেধড়ক পেটাতে থাকে। শিক্ষার্থীদের চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্লাশের মধ্যে ভয়ে দৌড় দিতে গিয়ে অনেকে শারিরীক আঘাত পায়। পরে কিছু শিক্ষার্থী রুমের দরজা খুলে বাহিরে পালিয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা বেত্রাঘাতের আঘাত সহ্য করতে না পেরে অনেকেই চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। পরে অন্যান্য সহকারী শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকারা এগিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে। শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করার পর সহকারী শিক্ষিকা সাদিয়া আক্তার শিক্ষার্থীদের নানান ধরণের অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে গালিগালাজ করেন এবং তাদেরকে টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দিয়ে স্কুল থেকে বের করার হুমকি প্রদান করেন। পরে তিনি স্কুল ছুটির পূর্বে স্কুল ত্যাগ করে চলে যান। আহত শিক্ষার্থীরা সবাই ৫ম শ্রেণীর ছাত্র। আহতরা হলো দেলোয়ার হোসেন রোল নং (১),আদর আলী রোল নং (১৩),আপন রোল নং (৭),লালবাবু রোল নং (১৮),কারিমুল হক রোল নং (১৯),স¤্রাট হোসেন রোল নং (১৪), রেজোয়ান হক রোল নং (২৩),জিয়াদ হোসেন রোল নং (২), ও জুয়েল রানা রোল নং (১৭)। দেলোয়ার হোসেন ও আদর আলী জানান, আপা আমাদেরকে মেরে বলেছে তোমাদের কোন বাবা আমার কি করে আমি তা দেখে নিব। তোমাদেরকে স্কুল থেকে বের করে ছাড়বো। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোজাহারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমার স্ত্রীর অসুস্থ্যতার কারণে আমি রংপুরে আছি। বিষয়টি শুনেছি কিশোরগঞ্জ আসার পরে আমি দেখতেছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আফজালুল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান,বিষয়টি শুনেছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমি এক সাংবাদিকের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি নতুন শিক্ষক হিসাবে এ কাজটি করা ঠিক করেনি। তবে এ বিষয়ে সাদিয়া আক্তারের মোবাইলে কয়েকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে ওই শিক্ষিকা কিশোরগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নুরুজ্জামানের আপন ভাগনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোবাইল ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।