খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৭: নরসিংদীর মনোহরদীতে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে চাঁদা তুলে পান্তা-ইলিশ উৎসব পালন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার এই কান্ডটি ঘটিয়েছে মনোহরদীর রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীসহ বহিরাগত পাঁচশতাধিক লোককে এই ভূরিভোজ করিয়েছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই ঘটনায় এলাকার সচেতন মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল ইসলাম (নাজিম) ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শান্তি রঞ্জন দাস বিদ্যালয়ের চারশতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে ১০০ টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করে। পরে এই টাকার সাথে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আরো টাকা যোগ করে ইলিশ-পান্তা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান সমূহে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ এলাকার প্রভাবশালী কমবেশী ৫ শতাধিক লোককে দাওয়াত করেন তারা। এ উপলক্ষে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দাওয়াতপত্রের সাথে একটি করে খাবার কুপনও সরবরাহ করেন। এই পান্তা-ইলিশ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাজার থেকে ইলিশ কিনে নেয়। সকাল ৯ টায় শুরু হয়ে বেলা ১ টা পর্যন্ত চলে এই ইলিশ ও পান্তার অনুষ্ঠান। খাওয়া দাওয়া চলাকালেই সচেতন মানুষের মধ্যে শুরু হয় গুঞ্জন। খাওয়া শেষে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। সচেতন লোকজন জানান, পয়লা বৈশাখের দিন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে ইলিশ খেতে বারণ করে পুঁটিমাছ, ডিম ভাজা ও ভর্তাসহ অন্যান্য মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেখানে রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ কোন ক্ষমতা বলে পান্তা-ইলিশ অনুষ্ঠান পালন করলেন, তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুল ইসলাম নাজিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ১শ টাকা হারে চাঁদা তুলে বাহিরের লোকজনসহ পাঁচশতাধিক লোককে ভূরিভোজ করানো হয়েছে।