Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

20খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৭:  সম্পর্ক যেমন গড়ে তেমন সেটা ভাঙেও। সম্পর্কের স্থায়িত্বকাল কতটুকু তা কখনই বলা সম্ভব নয়। দু’জন মানুষের মধ্যে যখন সত্যিকারের বোঝাপড়া হয় এবং পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা থাকে তবে সে সম্পর্ক টিকে যায়।

সম্পর্ক তৈরির পর একে অপরকে সময় দেওয়া খুবই প্রয়োজন। কিন্তু সম্পর্ক তৈরির পর অধিকাংশ জুটির মনে সম্পর্ক টিকবে কিনা এ নিয়ে সংশয় দেখা যায়। এ নিয়ে হাফিংটন পোস্টে বিশেষজ্ঞরা ৭ লক্ষণ উল্লেখ করেছেন যা দিয়ে আপনি কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন আপনার সম্পর্ক স্থায়ী হবে কিনা।
১. যদি একসঙ্গে হাসতে পারেন

এ হাসি কাওকে ব্যাঙ্গ করে নয়। সঙ্গীর অনুভূতিতে আঘাত করে বা উপহাস করে হাসলে তা তাকে নিচু করা হয়ে যায়। সময়ের সাথে তা সম্পর্কের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। আপনার সঙ্গী হয়তো এখন কিছু বলবে না কিন্তু এক সময় এর জন্য প্রতিক্রিয়া দেখাবে। যদি নিজেদের পছন্দের সিনেমা দেখে অথবা অতীতে করা নিজেদের কোনো ভুল নিয়ে প্রাণখুলে হাসতে পারেন তার সঙ্গে তবে বুঝবেন এ সম্পর্ক হবে দীর্ঘস্থায়ী।

২. প্রতিদিনই ভালোবাসা প্রকাশ করা

প্রতিদিন সঙ্গীর সামনে ভালোবাসা প্রকাশ করা আসলে সহজ নয়। আপনার সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল হওয়া, তার প্রশংসা করা ও ছোটখাটো সব ক্ষেত্রে তার মূল্য দেওয়া এভাবে প্রতিদিন আপনার অনুভূতি তাকে জানাতে পারবেন। প্রতিদিন সকালে তার জন্য চা বানানো অথবা সে অনেক পরিশ্রমী বলে প্রশংসা করা এসব বিষয় আপনার সম্পর্ক স্থায়ী করতে সাহায্য করে।

৩. দু’জনের মূল্যবোধ কাছাকাছি থাকা

সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে ভালো লক্ষণ হলো দু’জনের মূল্যবোধ কাছাকাছি থাকা। এই বিষয়টি সম্পর্ক স্থায়ী করতে সাহায্য করে সবচেয়ে বেশি। যেমন- ধর্ম, অর্থ, সন্তান নেবেন কিনা, নিলে তাদের কীভাবে বড় করবেন এ বিষয়ে দুইজনের মূল্যবোধ ও মতামত এক থাকা। এজন্য সম্পর্কের শুরুতে নিজেদের মূল্যবোধ নিয়ে আলাপ আলোচনা করা উচিত।

৪. ভুল বুঝতে সুযোগ দেওয়া

হয়তো কোনো দিন সিনেমা দেখতে যাওয়ার কথা সঙ্গীর সাথে কিন্তু সে দেরি করলো। এক্ষেত্রে আপনি তার কাছে কৈফিয়ত না জানতে চেয়ে যদি নিজের অনুভূতি তাকে জানান তাহলে সে নিজের ভুল বুঝতে পারবে। যদি এরপরও একই কাজ করে সে ক্ষেত্রে আপনার মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। আপনার সঙ্গীর মধ্যেও যদি একই মানসিকতা কাজ করে তবে সেটা আপনাদের সম্পর্কের জন্য শুভ লক্ষণ।

৫. কাজের প্রতিদান না চাওয়া

সত্যিকারভাবে সম্পর্ক এমন হওয়া উচিত যে, কোনো প্রতিদানের আশায় আপনি আপনার সঙ্গীর কাজ করে দেবেন না। আপনি তার জন্য যা করবেন এর জন্য তার কাছ থেকে কোনো প্রত্যাশা রাখবেন না। আপনাদের আলাপচারিতা যদি শুরু হয় অভিযোগ দিয়ে তাহলে সেখানে বিরক্তি চলে আসে। আপনার সঙ্গী যদি কোনো প্রতিদানের আশা না করে আপনার কাছে সেটা আপনার সম্পর্ককে করবে আরো বেশি অটুট।

৬. একসঙ্গে সমস্যা সমাধান করা

সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা আসবেই। সে সমস্যা কীভাবে সামাল দেবেন তার ওপর নির্ভর করে সম্পর্কের স্থায়িত্ব। সমস্যা এলে তা আপনারা একসঙ্গে সমাধান করুন, এড়িয়ে যাবেন না। এই ইতিবাচক মনোভাব আপনাদের সম্পর্ককে আরও বেশি সুদৃঢ় করবে। আসলে সমস্যা আপনাদের সম্পর্ককে মজবুত করার সুযোগ। এতে আপনাদের মধ্যে যোগাযোগ আরো বাড়বে।

৭. ভুলের দায় কাঁধে নিন

মানুষের ভুল হয়। কিন্তু সে ভুলের জন্য এক পক্ষকে দোষারোপ করলে চলবে না। দু’জনকেই তাদের ভুলের দায় স্বীকার করতে হবে। সঙ্গী স্বীকার না করলেও আপনার দিক থেকে আপনি স্বীকার করুন এবং এর দায় নিন। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট।