Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

64খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার,  ১৮ এপ্রিল ২০১৭: টানা দ্বিতীয়বারের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মনিরুল হক সাক্কু। গত ৩০ মার্চ জয়ী হলেও এখন পর্যন্ত গেজেট প্রকাশিত হয়নি, শপথও নিতে পারেননি তিনি। এরইমধ্যে আজ মঙ্গলবার সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, আজ গেজেটের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ গেজেট প্রকাশ করা। শপথ করানোর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ। তিনি গ্রেপ্তার হলে কীভাবে শপথ গ্রহণ করবেন তাও জানাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

ইসি সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকারের কোনো জন প্রতিনিধির নাম যদি আদালতের অভিযোগপত্রে থাকে তাহলেও তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা যাবে।
আজ মঙ্গলবার জ্ঞাত বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মঙ্গলবার সকালে মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ নির্দেশ দেন।
এই সিটিতে ভোট গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত এই সিটির গেজেট প্রকাশ করতে ইসি। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সাক্কুর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি কিছু অভিযোগ ছিল। সেগুলো ইনকুয়ারি করার প্রয়োজন ছিল। দুটি ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় রেজাল্টের সমস্যা ছিল। গতকাল (সোমবার) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজকে (মঙ্গলবার) গেজেটের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়াতে গেজেট প্রকাশে কোনো বাধা আছে কি না জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ বলেন, ‘না, এর জন্য গেজেট প্রকাশে আইনগতভাবে কোনো বাধা নেই। আমাদের কাজ গেজেট প্রকাশ করা, শপথ করানো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ। আমরা গেজেট প্রকাশ করলে তিনি শপথ গ্রহণ করবেন। আর গ্রেপ্তার হয়ে গেলে কীভাবে তিনি শপথ গ্রহণ করবেন সেটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ।’
এ ব্যাপারে ইসির যুগ্ম সচিব (আইন) ড. মো. শাহাজাহান বলেন, ‘গেজেট প্রকাশ করার তিনি গ্রেপ্তার হলে জেলে গেলেও শপথ নিতে কোনো সমস্যা নেই। তিনি জামিন নিয়ে শপথ নিতে পারবেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আদালত যদি তাঁকে কোনো শাস্তি দেন, সেক্ষেত্রে তাঁর মেয়র পদ থাকবে না।
আদালতের নথিসূত্রে জানা যায়, এক কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকার তথ্য গোপন এবং চার কোটি ৫৭ লাখ টাকার জ্ঞাত বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালে ঢাকার রমনা থানায় মামলা করে দুদক। গত বছরের নভেম্বর মাসে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। আদালত ৯ মে গ্রেপ্তার ও ক্রোক সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো নগরপিতা নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী সাক্কু। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠনের পর প্রথম নির্বাচনে ২০১২ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাক্কু মেয়র নির্বাচিত হন। তখন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কুমিল্লার প্রবীণ নেতা আফজল খানকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত করেন। এবারের নির্বাচনে সেই আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে পরাজিত করেন তিনি।