খােলা বাজার২৪।। শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০১৭: নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বড় বড় কয়েকটি গর্ত করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শত বছরের পুরনো একটি সড়ক। গ্রামের ভিতরে চলাচলের একমাত্র সড়কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে ছাত্রছাত্রীদের। বাড়ি হতে বাজার-ঘাট যেতে পারছে না ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী শতাধিক মানুষ। ঘটনাটি উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের হলহলিয়া জিদমোহন পাড়া এলাকায় ঘটে।
ওই এলাকার মো: মোর্শেদুল হক (৩৮) অভিযোগ করে বলেন, আমি ব্যবসায়ের কাজে বিভিন্ন জায়গায় মটরসাইকেলে করে যাতায়াত করি। আমাদের চলাচলের একমাত্র সড়কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা বড়ি হতে বের হতে পারছি না। তিনি বলেন, আমাদের এলাকার মৃত হরিবলা চন্দ্রের তিন পুত্র পরিক্ষিত(৪৬), দিনবন্ধ(৫০) ও মহেন (৪০) গায়ের জোড়ে গ্রামের চলাচলের একমাত্র সড়কটি বড় বড় কয়েকটি গর্ত খুড়ে বন্ধ করে দিয়েছে।
হলহলিয়া আদর্শ দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী লিমা আক্তার বলেন, স্কুলে যাওয়ার সড়কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ধান ক্ষেতের আইল দিয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে। অধিকাংশ দিনেই ক্ষেতের আইল হতে পা পিছলে পড়ে যাই। এতে কাঁদা দিয়ে জামাকাপর নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আর স্কুলে যাওয়া হয় না।
চিলাহাটি মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র রায়হান কবির বলেন, আমার স্কুল ১০ কিলোমিটার দুরে হওয়ায় আমার বাবার সাথে মটরসাইকেলে করে আমি স্কুলে যাই। বাড়ি হতে বের হওয়ার সড়কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি গত পাঁচ দিন হতে স্কুলে যাই না।
বৃদ্ধা জমিলা বেগম (৭৫) জানান, আমার জন্মের আগের এই সড়কটি হঠাৎ করে কেন বন্ধ করে দিল তার বিচার চাই। তিনি ওই সড়কটি পুনরায় চালুর দাবী করেন।
পরিক্ষিত, দিনবন্ধু ও মহেন শত বছরের পুরনো ওই সড়কটি বড় বড় গর্ত খুড়ে দেওয়ায় কথা স্বিকার করে বলেন, আমাদের জমির উপর রয়েছে ওই সড়কটি। তাই আমরা গর্ত করে দিয়েছি।
জোড়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসান বলেন, শত বছরের পুরনো সড়কটি বন্ধ করে দেওয়া কথা আমি শুনেছি। তবে যারা ওই সড়কটি গর্ত করে চলাচলের বিঘœ ঘটিয়েছে তারা খুব খারাপ কাজ করেছে।