খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২ মে, ২০১৭: নারীর জীবনে গর্ভাবস্থা এক অন্যতম সংবেদনশীল সময়। এ সময়ে হবু মা যাই করেন তার প্রভাব পড়ে গর্ভে থাকা সন্তানের ওপর।
আমরা সবাই জানি ওজন বেশি হলে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন: কোলেস্টেরল, হাইপার টেনশান, জোড়ের ব্যথা, আত্মবিশ্বাস কমে যায় ও হজমের সমস্যা হয়। যদিও প্রেগন্যান্সির সময় মায়ের ওজন বাড়াটাকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেয়া হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভবতী নারী অন্তত ৮-১০ কিলোর ওজন বাড়ান উচিত প্রেগন্যান্সির সময়। এমনটা হলে তা সুস্থ গর্ভধারণে সাহায্য করে। কিন্তু কেউ যদি গর্ভধারণের আগেই বেশি মোটা হয়ে যান, তাহলে এই বিশেষ সময়ে ৫-৬ কিলোর বেশি ওজন বাড়ানো উচিত নয়।
গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ওজন থাকাটা বাচ্চা ও মায়ের স্বাস্থ্যগত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে জন্মের পরেও।
সাম্প্রতিক জ্যামা নেটওয়ার্ক জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন যদি বেশি থাকে তাহলে জন্ম নেয়া শিশুর সেরিব্রাল পালসি (শারিরীক প্রতিবন্ধী বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এই সমস্যা) হওয়ার আশংকা থাকে।
এছাড়া দেখা গেছে, যেসব নারীদের গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে ওজন বেশি থাকে, তারা প্রসবের পর অবসাদ, পিঠের ব্যথা, অতিরিক্ত মাত্রায় মাসিক হওয়া ইত্যাদি সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া বাড়তি মেদের কারণে হরমোনের মাত্রায় কিছুটা হেরফের হয়ে ভারসাম্যর অভাব দেখা দেয়।
তাই গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে ওজন বেশি হলে মায়ের স্বাস্থ্য এবং জন্মের পরে বাচ্চার ওপর এর খারাপ প্রভাব পড়ার আশংকা থাকে।