খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারে চমক দেখাতে চায় জাতীয় পার্টি। তাই পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে ইতোমধ্যেই ৪টি আসনে সম্ভাব্য ১৬ জন প্রার্থীর নাম দলের চেয়ারম্যান বরাবরে পাঠানো হয়েছে জেলা জাতীয় পার্টি থেকে।
এ ছাড়াও দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রিয় নেতাদের কাছে ইতোমধ্যে লবিং শুরু করেছেন কয়েকজন প্রার্থী। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারে চমক দেখাতে চায় জাতীয় পার্টি। গত সংসদ নির্বাচনে সৌভাগ্যক্রমে জেলায় জাতীয় পার্টির ২ জন সাংসদ পেলেও আগামীতে জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে আসতে চায় জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংসদরা। জাতীয় পার্টির দুইজন সাংসদ ইতোমধ্যে জেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে ভুমিকা রেখেছেন। যার সুবাদে সদ্য সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চকরিয়া পেকুয়ায় মহিলা সদস্য পদে ২ জন বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। সাংসদ মৌঃ ইলিয়াছের উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে এমন বিজয় পেয়েছেন বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
এ ছাড়াও জাতীয় মহিলা পার্টির কার্যক্রম জেলাব্যাপী বৃদ্ধি পাওয়ায় সংগঠন মজবুত হয়েছে বলে মনে করেন তারা। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় জেলা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলের চেয়ারম্যান বরাবরে ৪টি আসনে ১৬ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম পাঠানো হয়েছে। এতে কক্সবাজার সদর-রামু আসন থেকে নাম পাঠানো হয়েছে মহিলা সাংসদ খোরশেদ আরা হক, এইচ এম আবচার, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কেন্দ্রিয় সদস্য এডঃ মোঃ তারেক ও জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার। কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসন থেকে নাম পাঠানো হয়েছে বর্তমান সাংসদ ও জেলা সভাপতি হাজী মোঃ ইলিয়াছ, এহছানুল হক ভুলু ও জেলা মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আসামউল হোসনা। কক্সবাজার-৩ আসনের যাদের নাম পাঠানো হয়েছে তারা হলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রিয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক কবির আহমদ সওদাগর, কুতুবদিয়ার আ.ন.ম শহিদ উদ্দিন ছোটন, সাবেক চেয়ারম্যান নাজেম উদ্দিন, মাহবুবুল আলম ও জেলা যুব সংহতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মুন্না।
অবশ্য জেলা জাতীয় পার্টি না না পাঠালেও কেন্দ্রিয় নেতা মোঃ মুহিবুল্লাহ জানিয়েছেন মনোনয়ন বিষয়ে তিনি কেন্দ্রের গ্রীণ সিগন্যাল পেয়েছেন। তাই নির্বাচনমুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন। কক্সবাজার -৪ আসনে অধ্যাপক নুরুল আমিন ভুট্টু, শফিক আহমদ ও মাষ্টার মনজুর আলম। জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান জানিয়েছেন, কক্সবাজারে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করে জয়ী হওয়ার মত সামর্থ জাতীয় পার্টির আছে। জেলার প্রতিটি ওয়ার্ডেই এখন জাতীয় পার্টি এখন জনপ্রিয়। তাই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অবশ্যই ভাল করবে। জেলা যুবসংহতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মুন্না জানিয়েছেন, দলের চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জাতীয় পার্টির জন সমর্থন বেড়েছে।
জেলার যুব সমাজ এখন জাতীয় পার্টি মুখী হয়েছে। নতুন প্রজন্মের নেতাকর্মীদের এখন ভরসার স্থান একমাত্র জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল ব্যর্থ হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল অরাজকতা ও হানাহানি উপহার দিলেও জাতীয় পার্টি দেশের উন্নয়ন উপহার দিয়েছে। জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসমাউল হোসনা জানিয়েছেন, গত সাড়ে ৩ বছর জাতীয় পার্টির জনপ্রতিনিধিদের কার্যক্রম জনগণ দেখেছে। জাতীয় পার্টির সাংসদ থাকলে কিভাবে উন্নয়ন হয় তা প্রমান হয়েছে। তাই জাতীয় পার্টিকে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে সাধারণ মানুষ। এদিকে গতবারের মত বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হতে পারবে এমন আশা করে অনেকেই প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। যার ফলে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।