খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ৩১ মে, ২০১৭: আগামীকাল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১ম ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত মুখোমুখি হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১৯টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। এর মধ্যে ইংলিশদের জয় ১৫ বার। টাইগারদের জয় ৪ বার। এর আগে তৎকালীন আইসিসি নকআউট বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ২০০০ সালে মাত্র একবার দেখা হয়েছিলো বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের।
৫ অক্টোবর কেনিয়ার নাইরোবির জিমখানা ক্লাব গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন সেই সময়কার টাইগার অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিমের ৮৪ বলে অপরাজিত ৬৩ ও অধিনায়ক দুর্জয়ের ৬০ বলে ৪৬ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ২৩২ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩৭ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
এই ম্যাচটিই ছিলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের প্রথম সাক্ষাৎ। হার দিয়ে লড়াই শুরু করার পর ১৩তম ম্যাচে এসে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা। ব্রিস্টলে ২০১০ সালের ১০ জুলাই ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ওপেনার ইমরুল কায়েসের ৭৬ ও উইকেটরক্ষক জহিরুল ইসলামের ৪০ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ২৩৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
এরপর বল হাতে জ্বলে উঠে বাংলাদেশের বোলাররা। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা-আব্দুর রাজ্জাক-শফিউল ইসলাম-রুবেল হোসেন-সাকিব আল হাসান, প্রত্যকে ২টি করে উইকেট শিকার করলে ২৩১ রানেই আটকে যায় ইংল্যান্ড। ৫ রানে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এরপর একটি ম্যাচের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা ২ জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ২০১১ বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ১১ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২২৫ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
জবাবে ১৬৯ রানে অষ্টম উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু নবম উইকেটে পেস বোলার শফিউল ইসলামকে নিয়ে ৫৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে অবিস্মরনীয় জয় এনে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদুল্লাহ ৪২ বলে ২১ ও শফিউল ২৪ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
বিশ্বকাপের মঞ্চে ঐ জয়ের পর পরবর্তী ৪ বছরের মধ্যে আর কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেখা হয়নি দুই দলের। আবার তাদের দেখা হয় ২০১৫ বিশ্বকাপে। এবারও বাজিমাত করে বাংলাদেশ। ৯ মার্চ অ্যাডিলেড ওভালে পুল ‘এ’ র ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাশরাফি বিন মুর্তজার বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহর দৃষ্টিনন্দন ১০৩ ও মুশফিকুর রহিমের ৭৭ বলে ৮৯ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ২৭৫ রান দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
জবাবে ২৬০ রানেই ইংল্যান্ডকে শেষ করে দেন বাংলাদেশের ৩ পেসার রুবেল-মাশরাফি-তাসকিন। রুবেল ৪টি আর মাশরাফি-তাসকিন ২টি করে উইকেট নেন। বিশ্বকাপের ঐ ম্যাচে পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ২১ রানে হারলেও, পরের ম্যাচেই জ্বলে উঠে টাইগাররা।
অধিনায়ক মাশরাফির অলরাউন্ড নৈপুন্যে ইংল্যান্ডকে ৩৪ রান হারায় বাংলাদেশ। টাইগারদের বিপক্ষে এটি ছিলো ইংল্যান্ডের চতুর্থ ও সর্বশেষ জয়। ঐ ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৯ বলে ৪৪ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন ম্যাশ। সেই সাথে সিরিজে সমতাও আননে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ৪ উইকেটে জিতে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ইংলিশদের বিপক্ষে এটিই ছিলো বাংলাদেশের সর্বশেষ ম্যাচ।