খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ৯জুলাই, ২০১৭: প্রযুক্তির সর্বোচ্চ পর্যায় মহাকাশে স্যাটেলাইট স্থাপন করলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ৩ শিক্ষার্থীর কঠোর পরিশ্রমে এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপান মহাকাশ অনুসন্ধান সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ‘ব্র্যাক অন্বেষা’ নামের এই ন্যানো স্যাটালাইটটি শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩.১০ মিনিটে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর ফলে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ক্ষেত্র মহাকাশ অনুসন্ধানে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ এমনটাই জানিয়েছেন এর সাথে সংশ্লিষ্টরা।
স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী প্রকৌশলী ইয়াসেফ ওসমান ৩ তরুণের বিজ্ঞানের এমন সাফল্যের ভূয়সী প্রসংশা করে বলেন, তরুণরাই এদেশের ভবিষ্যৎ, তাদের উপরেই সমৃদ্ধির পথে দেশের অগ্রযাত্রা নির্ভর করছে। তারুণ্যের শক্তির উপর ভর করেই ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে দেশকে পরিপূর্ণ ডিজিটাল করা হবে। তাই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিতে ৩ তরুণ্যের এই সাফল্য অন্যদেরকে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এই ধরণের উৎসাহমূলক কাজে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। নকশা তৈরি, উপকরণ সংগ্রহ, তারপর ন্যানো স্যাটেলাইট বানানোÑ সব কাজই করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই ৩ শিক্ষার্থী- রায়হানা শামস ইসলাম,আবদুল্লা হিল কাফি ও মাইসুন ইবনে মনোয়ার।
জাপান থেকে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে তারা বলেন, এবার যেহেতু তাদের প্রথম অভিজ্ঞতা তাই তারা স্যাটেলাইটটি জাপানে তৈরি এবং উৎক্ষেপণ করেছে। আগামীতে তারা দেশেই স্যাটেলাইট তৈরি এবং উৎক্ষেপণ করবে। এছাড়া সকল আগ্রহী ছাত্রদের মাঝে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দেশকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলবে। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।
১০ সেন্টিমিটার কিউব আকৃতির এবং ১ কেজি ওজনের একটি ন্যানো স্যাটেলাইট ‘ব্র্যাক অন্বেষা’। মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ করা হবে ন্যানো স্যাটেলাইটটির অন্যতম কাজ। নানা বিষয়ে গবেষণার জন্য উচ্চমানের ছবি তুলে পাঠাবে স্যাটেলাইটটি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা তাদের গবেষণা ও শিক্ষাদান কার্যক্রমে এসব তথ্য-উপাত্ত ব্যাবহার করবেন। ন্যানো স্যাটেলাইটটি পৃথিবী হতে ৪০০ কিলোমিটার ওপরে অবস্থান করবে এবং পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করে আসতে ৯০ মিনিটের মত সময় নিবে। এটি বাংলাদেশের উপর দিয়ে দিনে ৪ থেকে ৬ বার উড়ে যাবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ