Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

88f408970a1d89d99f39e82d91986523-59c0e54567d96

খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭:  দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর মিয়ানমারের রাখাইনের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আজ মঙ্গলবার নীরবতা ভাঙেন স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। টেলিভিশনে প্রচারিত জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, রাখাইনে সবার দুর্ভোগ গভীরভাবে অনুভব করে তাঁর সরকার। সেখান থেকে মুসলমানদের পালিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার খবরে সরকার উদ্বিগ্ন। মুসলমানরা কেন পালাচ্ছে, তা সরকার খুঁজে বের করতে চায় বলেও তিনি জানান। সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানান। রাখাইনে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন।

এএফপি বলছে, তবে সু চির এসব কথায় আশ্বস্ত হতে পারছে না আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তারা বলছে, সু চি তাঁর ভাষণে সেনাবাহিনীর ভূমিকার বিষয়ে কিছু বলেননি। তিনি তাঁর বক্তব্যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আক্রান্ত লোকজনকে দোষারোপ করেছেন।

মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান মিশনের প্রধান মারজুকি দারুসমান বলেছেন, রাখাইনে যেসব সহিংসতার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা খতিয়ে দেখতে হলে ঘটনাস্থলে যেতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন দেশটিতে পূর্ণভাবে অবাধে প্রবেশের নিশ্চয়তা। এই সংকটের বিষয়ে দ্রুতই দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা সহিংসতার অভিযোগের বিষয়ে কিছু না বলায় অং সান সু চি ও তাঁর সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলছে, আজকের ভাষণে সু চি স্পষ্ট করেছেন যে তিনি ও তাঁর সরকার রাখাইনের সহিংসতা বিষয়ে বালুতে মাথা গুঁজে রেখেছেন। তিনি বরং তাঁর বক্তব্যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদেরই দোষারোপ করেছেন। সু চি পরিস্থিতি দেখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যে আহ্বান জানিয়েছেন, সে ব্যাপারে সংস্থাটি বলছে, মিয়ানমারের যদি কিছু লুকানোর না থাকে, তাহলে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান কমিটিকে তদন্তের জন্য দেশটিতে ঢুকতে দেওয়া হোক।

রাখাইনে চলমান দমন-পীড়নের মুখে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই এ বিষয়ে মিয়ানমার ও সু চির ভূমিকার সমালোচনা করে আসছেন।