Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

20রবিবার, ১ অক্টোবর ২০১৭: বাজারে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৮-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) চালু হওয়ার কারণে। ওএমএস ডিলাররা মনে করছেন চাহিদার তুলনায় খোলা বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানো হলে বাজারে চালের দাম আরও কমবে।

রবিবার (১ অক্টোবর) শহরের দারুল উলুম মোড়ে চাল ক্রেতা মহেচেনা বেগম (৪৫) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত বছর খোলা বাজারের চাল ১৫ টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম। এ বছর ওই চাল ৩০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।’ তারপরও তিনি বেজায় খুশি জানিয়ে আরও বলেন, ‘বর্তমান বাজারে এই চাল ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আবার কিছুদিন আগে এই চাল বাজারে ৫৫ টাকায় কিনতে হয়েছে।’

এদিকে, ওএমএস চাল বিক্রি পরিমাণও বেড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, সকাল ৯টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত ওএমএস চাল বিক্রির দোকানগুলো খোলা থাকলেও ১১টার মধ্যেই চাল বিক্রি শেষ হয়ে যায়। প্রতিজন ৩০ টাকা দরে প্রতিদিন পাঁচ কেজি করে চাল কেনার করার সুযোগ পাচ্ছেন।

তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগ, শহরের মানুষ খোলা বাজারের চাল কেনার সুযোগ পেলেও গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারপরও ওওমএস চালু থাকার কারণে কেজিপ্রতি মোটা চালের দাম আট থেকে ১০ টাকা কমেছে। সব এলাকায় একযোগে সপ্তাহে ছয় দিন খোলা বাজারে চাল দেওয়া হলে অধিক মানুষ চাল কেনার সুযোগ পেত। এতে মোটা চালের দাম আরও কমে যেত।

উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলা শহরের বার্মাসেল, কারখানা গেট বাজার, ক্যান্ট বোর্ড বাজার, দারুল উলুম মোড়, চাল মার্কেট ও কাজী পাড়া ঈদ গাঁ মাঠসহ শহরে ছয় ডিলারের মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

এর মধ্যে ক্যান্ট বাজার, কারখানাগেট ও কাজী হাট ঈদগাঁহ মাঠ পয়েন্টে প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার, শনিবার, রবিবার ও দারুল উলুম মোড়ে, বার্মাসেল ও চাল মার্কেট পয়েন্টে সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার ওএমএস চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

দারুল উলুম মোড়ের ওএমএস ডিলার গোলজার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী সপ্তাহে ছয় দিন খোলা বাজারে চাল সরবারহ করা হলে চালের দাম প্রতি কেজিতে ১২ থেকে ১৪ টাকা কমে যাবে।’
বাংলা ট্রিবিউন থেকে নেয়া