Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

comilla_chauddagram_murder_poto_03.10_.17_

তিনি হাবিবুর রহমান উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহত হাবিবুর রহমানের ভাই কামাল উদ্দিন।
স্থানীয় ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর রহমান জগন্নাদীঘি ইউনিয়নের কাকৈরখোলা কমিউনিট ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে চাকুরি করেন। দীর্ঘদিন ধরে পাশ্ববর্তী দক্ষিণ সোনাপুর গ্রামের আলী এরশাদের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজাদ, জিদু মিয়ার ছেলে মোতালেব হোসেন, আলী আকাব্বরের ছেলে মোঃ ইয়াছিন, কোদালিয়া গ্রামের মোঃ জয়নালের ছেলে ছালেহ আহমেদ সুবজ স্থানীয় মেয়েদেরকে ইভটিজিং করছিলো। হাবিব বাধা দেয়ায় এনিয়ে তারা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার পরে হাবিব, তার বন্ধু এমদাদুল হক জুয়েল ও নবী হোসেনকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে চৌধুরী বাজার যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নারানকরা দক্ষিণ পাড়ায় রাস্তার উপর যুবলীগ নেতা আজাদের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধ করে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাবিবের শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এসময় হাবিবের সাথে থাকা জুয়েল ও নবীর চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আহত হাবিবকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত হাবিবের ভাই কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আজাদ, মোতালেব, ইয়াছিন ও ছালেহ আহমদ সবুজের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, নিহত হাবিবের ভাই কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামি ছালেহ আহমদ সবুজকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।