Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

আবুল কাসেম ফজলুল হক
খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭: উন্নত চিন্তা ও গভীর জ্ঞানের পরিচয় কখনো কখনো দৈনিক পত্রিকার উপসম্পাদকীয়তেও লক্ষ করি। কিন্তু সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা-সমালোচনা খুঁজে পাই না।
এমন কোনো সাময়িকপত্র কিংবা সংবাদপত্রও দেখি না, যা কোনো বিষয়ে কোনো চিন্তাকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। ব্রিটিশ আমলে ‘আজাদ’ এবং পাকিস্তান আমলে ‘ইত্তেফাক’ তাদের উদ্দেশ্য অনুযায়ী সাফল্যের সঙ্গেই তা করেছিল। আজাদ দাঁড়িয়েছিল মুসলিম সাম্প্রদায়িকতাবাদ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে। আর ইত্তেফাক দাঁড়িয়েছিল পূর্ব বাংলার বাঙালি জাতীয়তাবাদ নিয়ে। প্রকাশিত লেখা সম্পর্কে পাঠকদের মতামতও পত্রিকা দুটিতে স্থান পেত। এখন অনেকে টেলিফোনে ও ফেসবুকে মতপ্রকাশ করেন। কিন্তু চিন্তার গভীরতা ও ব্যাপ্তির এবং ধারাবাহিক বিকাশের পরিচয় এগুলোতে থাকে না। সবাই যন্ত্রের গতিতে অত্যন্ত দ্রুত চলছেন। এ অবস্থায় অনেকেই বলে থাকেন, বাংলাদেশে চিন্তার নিদারুণ দৈন্য বিরাজ করছে। বাংলাদেশে অর্থনীতিবিদদের চিন্তায় দীনতা আছে। বিশ্বব্যাংকের পরিকল্পনার বাইরে তাঁদের কোনো চিন্তাই নেই। অবক্ষয়ক্লিষ্ট পশ্চিমা সভ্যতার ও সাম্রাজ্যবাদী সব পরিকল্পনার অন্ধ অনুসারী তাঁরা। রাষ্ট্রচিন্তা অনেকে করছেন। চলমান রাজনীতি নিয়েও কিছু চিন্তার সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সেসব চিন্তার প্রতি কোনো সদর্থক দৃষ্টি নেই, আগ্রহ নেই—নিজেদের উন্নত করার আকাঙ্ক্ষাও নেই। চিন্তকদের মধ্যেও চিন্তার আদান-প্রদান নেই, ধারাবাহিক বিকাশ নেই। জাতির চিন্তাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে টেলিভিশনের টক শোতে! বৌদ্ধিক চরিত্র বা Intellectual Character-এর প্রতি কোনো আগ্রহ নেই সমাজের কোনো অংশেই। কিছু লেখক ও শিল্পী-সাহিত্যিক দলদাস বলে অভিহিত হন। এ অবস্থায় মহান চিন্তার ও মহৎ চিন্তাবিদের আত্মপ্রকাশ ঘটবে কিভাবে? এ অবস্থায় রাজনীতির উন্নতি হতে পারে?

আমাদের সামনে লক্ষ্য দরকার। ব্রিটিশ আমলে, পাকিস্তান আমলে আমাদের লক্ষ্য ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ না করার ফলে আমরা লক্ষ্যচ্যুত হয়ে পড়েছি। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত ‘রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থার ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গত লেখাটিতে আমি সেই লক্ষ্য অনুসন্ধান করেছিলাম। বিষয়টির প্রতি কারো কারো দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে—আমি লক্ষ করেছি। এ নিয়ে যদি অনেকে লেখেন, মতপ্রকাশ করেন, চিন্তাকে ব্যাপকতা, গভীরতা ও বাস্তবায়ন-উপযোগিতা দান করেন এবং বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা দেখা দেয়, তাহলে এই সামান্য চিন্তাই অসামান্য হয়ে উঠতে পারে। সে রকম মনোভাব কোথায় বাংলাদেশের লেখকদের মহলে, রাজনীতিকদের মহলে।

দুঃখজনক সত্য এই যে বাংলাদেশ তার জীবনের প্রায় চার দশক সময় অতিবাহিত করেছে ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে বিতর্কে। বিতর্ক একপর্যায়ে রূপ নেয় আস্তিকতা ও নাস্তিকতা নিয়ে সহিংস বিরোধে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশেও বিস্তৃত হয়েছে জঙ্গিবাদ। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, আন্তর্জাতিকতাবাদ ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণাকে নবায়িত ও উন্নত না করে, এগুলোকে ব্যর্থ করে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করা যাবে? যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে উদ্ধার লাভের জন্য দরকার রাজনীতির মূল আদর্শগত বিষয়গুলোকে পুনর্গঠিত ও নবায়িত করা এবং নতুন চিন্তার বাস্তবায়ন আরম্ভ করা। এখানে দু-একটি বিষয়ের দিকে একটু দৃষ্টিপাত করা যাক।

‘দেশ’ এবং ‘রাষ্ট্র’ এক নয়। দেশ প্রকৃতির সৃষ্টি, রাষ্ট্র মানুষের। পাহাড়, পর্বত, সমুদ্র, মরুভূমি ইত্যাদি দুর্লঙ্ঘ্য নানা কিছু দ্বারা পরিবেষ্টিত একেকটি বিশাল ভূভাগ হলো একেকটি দেশ। তাতে জমিজমা থাকে, নদী-নালা, খাল-বিল, গাছপালা থাকে, আকাশ-বাতাস থাকে। শিল্প বিপ্লবের ফলে ইউরোপে যাতায়াত ও যোগাযোগ ক্ষুদ্র আঞ্চলিক গণ্ডি অতিক্রম করে দেশব্যাপী বিস্তৃত হয়। তাতে জাতীয়তাবোধ, জাতীয়তাবাদ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের তাগিদ দেখা দেয়। এরই মধ্যে মানুষের অধিকারবোধ ও গণতান্ত্রিক আবেগও বিকশিত হয়। সেটা ফরাসি বিপ্লব (১৯৮৯) ও তার অব্যবহিত পরবর্তীকালের ঘটনা। সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারারও তখন উন্মেষ ও বিকাশ ঘটতে থাকে। ইউরোপ থেকে চিন্তা-চেতনা ছড়িয়ে যায় সব দেশে। শিল্প বিপ্লবের আগে মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগ দেশব্যাপী বিস্তৃত হয়নি। তখন মানুষের জীবনযাপন সীমাবদ্ধ ছিল ক্ষুদ্র অঞ্চলে। কোথাও কোথাও বিশাল সাম্রাজ্য স্থাপিত হলেও সেখানে দেশের ভেতরে এই আঞ্চলিক সীমাবদ্ধতা কাটেনি।

আধুনিক যুগের ধারণা অনুযায়ী রাষ্ট্রের জন্য একসঙ্গে দরকার হয় সুনির্দিষ্ট ভূভাগ, সেই ভূভাগের ঐক্যবোধসম্পন্ন (বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য) আত্মসচেতন জনগণ, সেই ভূভাগ ও সেই জনগণের জন্য সরকার এবং রাষ্ট্রীয় সব ব্যাপারে সেই জনগণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত স্বাধীনতা বা সার্বভৌমত্ব বা চূড়ান্ত ক্ষমতা। রাষ্ট্রের জন্য এই চারটি গঠনকর উপাদান একসঙ্গে স্থায়ীভাবে দরকার হয়। আধুনিক রাষ্ট্রে সরকার গঠিত হয় দল দ্বারা। রাজনৈতিক দলকেও আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম গঠনকর উপাদান রূপে গণ্য করা সমীচীন। সংশ্লিষ্ট জনগণকে সজ্ঞানে সচেতন প্রয়াশ দ্বারা রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হয়। রাষ্ট্র আপনিতেই হয় না। রাষ্ট্র গঠন, রাষ্ট্র রক্ষা করা ও রাষ্ট্রের উন্নতি সাধন সংশ্লিষ্ট জনগণের নিরন্তর প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের ব্যাপার। ফরাসি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ইউরোপে জনগণের মধ্যে জাতিরাষ্ট্র গঠনের আগ্রহ সূচিত হয়। জনমনে ধারণা সৃষ্টি হয়, আমরা যদি আমাদের দেশে আমাদের জন্য একটি ভালো রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারি, তাহলে সেই রাষ্ট্রে আমাদের পক্ষে সবচেয়ে ভালো জীবনযাপন সম্ভব হবে। শিল্প বিপ্লবের সূচনাপর্বে, সামন্ত যুগের অন্তিম পর্যায়ে, গির্জা সামন্তপ্রভু ও রাজার কর্তৃত্বকালেই ক্রমিক গতিতে দেখা দেয় এই চেতনা। এ অবস্থার মধ্যেই জাতিরাষ্ট্রও গঠনের তাগিদ সৃষ্টি হয়। জাতিরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে জনগণের মধ্যে ঐক্য কমে গেলে, বৈচিত্র্যপ্রবণতা সীমা ছাড়িয়ে গেলে রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে যায় এবং বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য না থাকলে রাষ্ট্র টেকে না। রাষ্ট্র গঠনের জন্য জাতীয় সাধনা ও জাতীয় সংগ্রামের গভীরে দরকার হয় জাতির ভেতরে ব্যক্তি মানুষদের নিরন্তর আত্মগঠন। শুধু স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ নিয়ে রাষ্ট্র হয় না। রাষ্ট্র গঠন করার জন্য বুদ্ধি, যুক্তি, জ্ঞান, বিচার-বিবেচনা, সততা, প্রজ্ঞা ও কাজ দরকার হয়। বহুত্ববাদ রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। বহুত্বমূলক ঐক্যের সমন্বয়ের ধারণা রাষ্ট্রের অনুকূল।

দৈশিক জাতীয়তাবোধ কালক্রমে উন্নীত হয় জাতীয়তাবাদে বা জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মতবাদে। জাতিরাষ্ট্র গঠনের জন্য আদর্শ হিসেবে জাতীয়তাবাদের সঙ্গে যুক্ত করতে হয় গণতন্ত্র কিংবা সমাজতন্ত্রকে। ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের পটভূমিতে আছে বিভিন্ন দেশের সিনকুয়েসেন্টু, রেনেসাঁস, রিফর্মেশন, অ্যানলাইটেনমেন্ট ইত্যাদি সাংস্কৃতিক আন্দোলন। সামগ্রিক আলোচনায় বিভিন্ন জাতির এসব ব্যাপার একত্রে অভিহিত হয় রেনেসাঁস বলে। শিল্প বিপ্লব এক চলমান প্রক্রিয়া, আঠারো শতকের মাঝামাঝি থেকে আড়াই শ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে, তাতে আছে নানা পর্যায়। চিন্তার ইতিহাসেও আছে নানা পর্যায়।

জাতিরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সাধারণত আঞ্চলিক, গোষ্ঠীগত, ভাষিক ও ধর্মীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নানা জনসম্প্রদায় থাকে। জনসাধারণের মধ্যে এই বৈচিত্র্য বিরাজ করার ফলে জাতীয় ঐক্যে সমস্যা দেখা দেয়। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যে যেমন গুরুত্ব দিতে হয়, তেমনি গুরুত্ব দিতে হয় বৈচিত্র্যে। ঐক্য সেই সঙ্গে বৈচিত্র্য—দুটিতেই গুরুত্ব দিতে হয়। জাতিরাষ্ট্রগুলোর অস্তিত্ব ও উন্নতি নির্ভর করে জনগণের ঐক্যের ওপর।

অন্যদিকে জাতিরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দেখা দেয় মিত্রতামূলক কিংবা শত্রুতামূলক আন্তরাষ্ট্রিক সম্পর্ক। কার্ল মার্ক্স ও তাঁর সহযোগীরা ১৮৪০-এর দশক থেকেই শ্রমিক শ্রেণিক আন্তর্জাতিকতাবাদ প্রচার করতে আরম্ভ করেছিলেন। শিল্প বিপ্লবের যে পর্যায়ে তাঁরা ছিলেন, তাতে আন্তর্জাতিকতাবাদের ধারণা তাঁদের লেখায় স্পষ্ট রূপ পায়নি। জাতি, জাতীয় সংস্কৃতি, জাতিরাষ্ট্র ইত্যাদির স্বাভাবিক বিকাশের জন্যই দরকার আন্তর্জাতিকতাবাদ। জাতিরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও আদান-প্রদান বৃদ্ধি, বিরোধ মীমাংসা, যুদ্ধের সম্ভাবনা তিরোহিত করা, যুদ্ধ লেগে গেলে যুদ্ধ থামানো, বিশ্বভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি ইত্যাদি আন্তর্জাতিকতাবাদের লক্ষ্য। আন্তর্জাতিকতাবাদ জাতীয়তাবাদের সম্পূরক।

আন্তর্জাতিকতাবাদের বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ অপরিহার্য। আন্তর্জাতিকতাবাদের ধারণা স্পষ্ট হয় দুই বিশ্বযুদ্ধের এবং League of Nations ও UNO-র প্রতিষ্ঠার কালে। তখন আন্তর্জাতিক ফেডারেল বিশ্ব সরকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন কেউ কেউ বোধ করেন। এর অনেক আগেই সূচিত হয় জাতীয়তাবাদের বিকৃত বিকাশ—উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ। আন্তর্জাতিকতাবাদের বিকাশ এই বিকারের প্রতিকার সন্ধান করতে গিয়ে। এর মধ্যে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর দেখা দিয়েছে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের মতবাদ।

সোভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার ওপর সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ও নতুন প্রযুক্তির অভিঘাতে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয়। তারপর সাম্রাজ্যবাদী মহল থেকে উদ্ভাবিত হয় বিশ্বায়নের মতবাদ। উপনিবেশবাদ, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের ধারা ধরে বিশ্বায়নের মতবাদ দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিকতাবাদের ধারা ধরে বিশ্বায়নের মতবাদ দেখা দেয়নি। বিশ্বায়ন সাম্রাজ্যবাদেরই উচ্চতর স্তর। আন্তর্জাতিকতাবাদ আর বিশ্বায়নবাদ এক নয়। আন্তর্জাতিকতাবাদ জাতি, জাতীয় সংস্কৃতি ও জাতিরাষ্ট্রকে বিকাশশীল রূপে রক্ষা করতে চায়। বিশ্বায়নবাদীরা নিজেদের অভিসন্ধি গোপন রাখে, তারা জাতিরাষ্ট্র, বিশেষ করে দুর্বল রাষ্ট্রগুলোকে বিলুপ্ত করতে চায়, নিঃরাজনীতিকরণের নীতি নিয়ে চলে এবং সাম্রাজ্যবাদী ওয়াশিংটনকেন্দ্রিক বিশ্বরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

রবীন্দ্রনাথ, তলস্তয় ও আরো অনেক মনীষী জাতীয়তাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদকে এক করে দেখেছেন। শেষ পর্যন্ত সাম্রাজ্যবাদকেই তাঁরা জাতীয়তাবাদ মনে করেছেন। এতে যে ভ্রান্তি আছে, তা থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে এবং জাতীয়তাবাদ ও তার সম্পূরক আন্তর্জাতিকতাবাদের মতবাদকে স্থলাভিষিক্ত করতে হবে বিশ্বায়নের মতবাদের।

কথিত উদার গণতন্ত্রের অপসারণ ঘটিয়ে তার স্থলাভিষিক্ত করতে হবে সর্বজনীন গণতন্ত্রকে। সর্বজনীন গণতন্ত্রের আদর্শ উদ্ভাবন করতে হবে। আন্তর্জাতিক ফেডারেল বিশ্বরাষ্ট্রের আদর্শও উদ্ভাবন করতে হবে। এই ধারার চিন্তা ও কর্মের মধ্য দিয়ে মানবজাতির সামনে এবং প্রত্যেক জাতির সামনে নতুন কালের নতুন লক্ষ্য স্পষ্ট হবে এবং নতুন আশাবাদ সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে তার চেয়ে অনেক উন্নত অবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। মানুষের জীবনও তাতে অনেক উন্নত ও সুন্দর হতে পারে। সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রথমে দরকার নতুন চিন্তা এবং তারপর চিন্তা ও কাজ।

লেখক : চিন্তাবিদ, সাবেক অধ্যাপক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়