খােলা বাজার২৪। সোমবার,৬ নভেম্বর, ২০১৭: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সব বিশ্ববিদ্যালয় অভিন্ন প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা এবং এমসিকিউর পদ্ধতির পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষার পদ্ধতির পরিবর্তনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। রাষ্ট্রপতির কাছে বেশ কিছু সুপারিশ করে একটি প্রতিবেদনও পাঠিয়েছে তারা। সুপারিশের সঙ্গে একমত শিক্ষাবিদরাও।
প্রতিবছরই কয়েক লাখ শিক্ষার্থীকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য ছুটে বেড়াতে হয় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এতে একদিকে যেমন প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। ভর্তি পরীক্ষার এ ভোগান্তি কমাতে সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
সুপারিশ গুলোর মধ্য অন্যতম দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা একইদিনে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অর্থাৎ অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সম্পন্ন করা। এ পদ্ধতিতে বিভাগভিত্তিক প্রশ্নপত্র আলাদা হবে। মেধাতালিকা অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। প্রকৃত মেধা যাচাই এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এমসিকিউ বা নৈব্যর্ক্তিক পদ্ধতির বদলে লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ নিয়ে অতি দ্রুত রাষ্ট্রপতি ও উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, অভিন্ন প্রশ্নপত্রে আমরা কখনও পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করিনি। তবে একগুচ্ছ বা প্রশ্নপ্রত্রে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীরা অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের এসব সুপারিশকে বাস্তব সম্মত মনে হলেও সুপারিশ বাস্তবায়নে সদিচ্ছার অভাব হতে পারে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতি কেন আমি দেখছি না এবং তাতে অর্থের সাশ্রয় হয়। পরিবার গুলো নিশ্চিত হয় এবং একজন শিক্ষার্থীর জন্য এটা অত্যন্ত স্বস্তির বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ভর্তির জন্য প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়েই আইন রয়েছে। সেজন্য তারা একগুচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করছেন না। কারণ ভর্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অর্থ উপার্জনের সুযোগ পায়। কিন্তু সরকার যদি এই অর্থ পরিশোধ করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কোনো সমস্যা নেই।
এদিকে, আগামী বছর থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে সম্মত হয়েছেন।
সূত্র : ডিবিসি নিউজ