খালেকুজ্জামান – খােলা বাজার২৪। শনিবার , ২৫ নভেম্বর, ২০১৭: নাগরিকত্ব ছাড়া এই মানুষগুলোর ওখানে যাওয়ার কোনো মানে নেই। প্রশ্ন হল- সামরিক বাহিনী ওদের ওপর আর নির্যাতন করবে কি-না? সামরিক বাহিনীর সাথে যে দুর্বৃত্তরা যোগ দিয়েছিল, তাদের বিচার হবে কি-না? এই মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে কি-না? তাদের ক্ষয় ক্ষতি পূর্ণবাসন কিভাবে হবে? এরা তো ভাসমান কচুরিপনা নয় যে, এক জায়গা থেকে সরিয়ে আরেক জায়গায় নিয়ে যাব। তারা মানুষ। একটা দেশের নাগরিক ছিল। নাগরিকত্ব হারিয়ে একটা দেশ থেকে তারা জান বাঁচানোর জন্য বেরিয়ে এসেছে। তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে।
এই মানুষগুলোকে যদি ফিরতে হয়, তাহলে এ রকম নয় যে বর্ডারের এই পাশে এসে পড়েছিল, ওই পাশে ঠেলে দিলাম। তাহলে যেই কারণে বার বার এই ঘটনাগুলো ঘটছে, একটি দেশের নাগরিকত্ব এটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। দুই নম্বর যে, অত্যাচার যারা করছে তাদের বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি। এবং ওখানে যে সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সেই বিষয় নিস্পত্তি করার জন্য কি কার্যক্রম তারা গ্রহণ করছে সেটাও বলা হয়নি। আর এখানে পূণর্বাসন কিভাবে হবে সেটা বলা হয়নি।
ক্ষতিপূরণ, পূণর্বাসন, দুবৃত্তদের বিচার, নাগরিকত্ব প্রদান, সাম্প্রদায়িক যে আবহাওয়া বিদ্যমান সেটা দূর করার জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, এসব কিছু বাদ দিয়ে শুধুমাত্র চুক্তি করছি আমরা। ফেরত নিয়ে যে যাচ্ছি, এটা যুক্তি সংগত নয়। একটা মরণ যন্ত্রণা থেকে তাকে আইসিইউতে পাঠানোর তো কোনো মানে নেই। এটা সুস্থতার লক্ষণ হয় না।
পরিচিতি : সাধারণ সম্পাদক, বাসদ
-আমাদের সময়.কম