খােলা বাজার২৪। বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭:মো:রাসেল মিয়া নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি: নরসিংদীতে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি বিগত ৫ বছরে তৃণমূল পর্যায়ে গ্ররুপিং আর কোন্দলে জর্জরিত হয়ে পরেছে বিএনপি’র রাজনৈতিক বর্তমান অবস্থান। আর এ কারণে কেন্দ্রীয় কোন কর্মসূচী সঠিকভাবে পালন করতে পারছেনা উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, এলাকায় আসেন না বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তারা নরসিংদীর বাইরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে স্ব স্ব অবস্থান ঠিক রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর এই গ্রæপিং-এর প্রভাব আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরবে বলে নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে।
অপরদিকে সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের প্রভাবে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের কর্মসূচী ঠিকমতো পালন করতে পারছেন না বলে বিএনপি দলী নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও বিগত ৫ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় শতাধিক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। মামলা-হামলার ভয়ে অনেক বিএনপি নেতাকর্মীরাই বিভিন্ন কর্মসূচীতে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। অপরদিকে, দায়িত্বে থাকা বড় বড় নেতাকর্মীদের গাফিলতিতে রায়পুরা, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব, পলাশ, নরসিংদী সদরসহ অধিকাংশ এলাকাতেই যুবদলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হচ্ছে।
অনেকেই কোন্দলে পড়ে দল থেকে ছিটকে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতাকর্মী বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলার সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের কিছু ভুল-ক্রটি রয়েছে, যার কারনে বিগত ৫ বছর ধরে কমিটি গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। যার কারনে তৃণমূল হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, ৫ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন অবৈধ মর্মে রায়পুরা উপজেলার বিএনপি সমর্থক রুহুল আমিন অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী ও নেতাকর্মীদের নিয়ে রায়পুরা উপজেলার রেল ষ্টেশনে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করতে গেলে পুলিশ প্রশাসন ১ জনকে আটক করে বলে জানা যায়। কিন্তু বিএনপি দল থেকে এ ঘটনায় কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
দলীয় ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে নরসিংদী জেলায় বিএনপি দল কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে। এরপর থেকেই কমিটি গঠনে কয়েকবার চেষ্টা করলেও নেতাকর্মীরা এক হতে পারছে না, ভুল বোঝাবুঝিরর সৃষ্টি হচ্ছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। বর্তমানে বিএনপি’র স্থানীয় রাজনীতিতে গ্ররুপিং সৃষ্টি হয়েছে এবং কয়েক ধারায় বিভক্ত বিএনপি’র রাজনীতির বলয় প্রবল আকার ধারণ করে।
দলীয় বিভক্তির কারণে হামলা-সংঘর্ষের আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় বিএনপি কমিটির বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটি প্রকাশ হলে নরসিংদীতে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও দলীয় কোন্দল এর কারণে উপজেলা বিএনপি সদরে তেমন কোন উল্লেখ্যযোগ্য কর্মসূচী পালন করতে পারছে না।
ফলে উপজেলা বিএনপি’র গ্ররুপি-এর প্রভাব আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে দলীয় সচেতন নেতাকর্মীরা জানান। শীঘ্রই যদি এই গ্ররুপিং-এর অবসান না করা হয় তাহলে এ আসনে বিএনপি লজ্জাজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হবে বলে তুণমূল ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা আশঙ্কা করছেন।