Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪। বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭: মিটার থাকার সত্ত্বেও যাত্রীদের থেকে এখনও অতিরিক্ত ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছে সিএনজি চালকরা। মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে আদায় হচ্ছে এই ভাড়া। তবে বারবার অভিযোগ করার পরেও সিএনজি অটোরিকশার টেম্পারিং বন্ধ করতে পারেনি বিআরটিএ। এক্ষেত্রে, বিআরটিএ- এর অবহেলাকে দায়ী করছে শ্রমিক নেতারা। কিন্তু বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, টেম্পারিংকে বৈধ করতে চালকেরা বিভিন্ন অযুহাত খুঁজছে। সূত্র – ডিবিসি নিউজ

গুগল ম্যাপ অনুযায়ী ঢাকার কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মহাখালী ওয়্যারলেস গেটের দূরত্ব সাত দশমিক সাত কিলোমিটার। ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী প্রথম দুই কিলোমিটার ৪০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ১২ টাকা হলে মিটারে ওঠার কথা ১০০ টাকা। অথচ মিটারে এর দূরত্ব ৯.৬ কিলোমিটার দেখিয়ে ভাড়া উঠেছে ১৪৪ টাকা ।

এ সম্পর্কে  একজন যাত্রী বলেন, ‘যাত্রাবাড়ি থেকে মহাখালী ১১ কিলোমিটার পথ যানজটমুক্তভাবে এসেও আমাকে গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ অর্থ।’

মোট নয়টি প্রতিষ্ঠানকে সিএনজি অটোরিকশার মিটার সংযোজনের অনুমোদন দিয়েছে বিআরটিএ। কিন্তু সেসব প্রতিষ্ঠানের বাইরে যেসব চালকেরা বিভিন্ন ভূইফোঁড় মেকানিকের দ্বারস্থ হচ্ছে তারাই করছে মিটার টেম্পারিং। বিভিন্ন কলা-কৌশলে মিটার টেম্পারিংকরা হয় বলে জানায় বিআরটিএ অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠানে।

এদিকে টেম্পারিংয়ের অভিযোগ মেনে নিচ্ছেন চালকেরাও। তবে বিআরটিএ অনুমোদিত এজেন্সির সংখ্যা কম থাকায় বাইরের মেকানিকদের মাধ্যমে টেম্পারিং হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিএনজি শ্রমিক নেতারা।

এ সম্পর্কে  ঢাকা ও চট্রগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব সাখাওয়াত হোসেন দুলাল বলেন, ‘প্রায় ৬টা থেকে ৭টা পয়েন্টে মেকানিক গড়ে উঠেছে। আর গাড়ি যখন রাস্তা যাবে তখন যদি মিটার নষ্ট হয়ে যেয়ে মিটার না চলে তখন সার্জন মামলা দিয়ে দিবে। আর তখনই কিন্তু তারা সিরিয়াল না পেলে বাধ্য হয়ে অন্য জায়গায় চলে যাবে।

এদিকে বিআরটিএ এর সচিব মুহাম্মদ শওকত আলী বলেন, ‘শ্রমিকদের এমন অভিযোগ অযুহাত।’

তবে  টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে যাত্রী হয়রানি বন্ধে কর্তৃপক্ষকে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার দাবি যাত্রীদের।