খােলা বাজার২৪। শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭: উন্নয়নের বিশ্বে সম্ভাবনাময় ১১তম উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উঠেছে বাংলাদেশের নাম। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে স্বল্প জমিতে খাদ্যের যোগান দিচ্ছে ১৬ কোটি মানুষের। ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধির অর্জনে নজির স্থাপন করেছে এক সময়ের তলা বিহীন ঝুঁড়ির পড়া বাংলাদেশ। কিন্তু দেশের ব্যাংকিং খাতে লুটপাট আর অনিয়মে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ধস নামতে পারে এমন আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের। সূত্র: যমুনা টিভি
যুদ্ধবিদ্ধস্ত অবস্থায় শূন্য থেকে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। কেটে গেছে ৪৬ বছর। চলার পথে জুটেছে উন্নয়নের বিস্ময়ের মতো অন্যান্য প্রশংসা। কিভাবে সম্ভব হলো চালসহ খাদ্য শস্যের উৎপাদন তিনগুণ বাড়ানো। কোন পরশ কাঠির ছোঁয়ায় ২৯০ ডলারের মাথাপিঁছু আয় বেড়ে হলো ১৬’শ ডলার। কিভাবেই বা তিনভাগের দুইভাগ দারিদ্র্য কমে দাঁড়ালো এক তৃতীয়াংশে।
অর্থনীতিবিদ ড. রেহমান সোবহান বলেন, সাধারণ লোকের যে উদ্যোগটা অন্যদেশে খুব কম দেখা যায়। সরকার নিজেই উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।
ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশের বেশি জিডিবির প্রবৃদ্ধি, প্রবাসী আয় আর রপ্তানি আয় সব মিলিয়ে সম্ভাবনাময় এক অর্থনীতি।
কিন্তু ব্যাংকিং খাতে হাজার হাজার টাকা লুটপাটের ভেতর থেকে সেসব অর্জনকে পোকার মতো খেয়ে ফেলছে। ব্যাংকিং খাতের এই রোগ পুরো অর্থনীতিতে মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।
অর্থনীতিবিদ ড. রেহমান সোবহান বলেন, ভবিষ্যতে একটা সাংঘাতিক ঝুঁকি রয়েছে অর্থনীতিতে। ব্যাংকিংসেক্টর ভালো করে সমর্থন দিতে পারেনি। এখন ব্যাংকিং সেক্টরে একটা দুর্বলতা চলে আসে। ব্যাংকিং খাতে যদি দুর্বলতা চলে আসে তাহলে অর্থনীতিক ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও বিপর্যয়ে পড়তে পারে।
অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, যারা প্রভাবশালী তারা অনেক সময় ব্যাংকিং খাতকে নানাভাবে ব্যবহার করেছেন। এই ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে অনেকটা রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা বিতরণের হাতিয়ার হিসেবে অনেক কালধরে ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারণে পুঁজিভূত অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে।
উন্নয়নকে টেকসই করতে এখনি দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার তাগিদও অর্থনীতিবিদদের।