খােলা বাজার২৪।রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭: প্রতিবারের মতো এ বছর ২০১৮ সালেও ১৬ বার নববর্ষ উদযাপন করবেন নভোচারীরা। ৩৬৫ দিন শেষে একবার নববর্ষের সন্ধ্যা উদযাপনের জন্য অপেক্ষা করছে সবাই। অথচ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের নভোচারীরা একদিনে মোট ১৬ বার নববর্ষের সন্ধ্যা উদযাপনের সুযোগ পাবেন। নাসা জানিয়েছে, আইএসএস প্রতি ৯০ মিনিটে একবার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে। ফলে, ভূপৃষ্ঠের ৪০২ কিলোমিটার ওপরে উড়ার সময় ২৪ ঘণ্টায় ১৬ বার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পান তারা। স্পেস স্টেশনে এখন তিনজন আমেরিকান, দুজন রুশ ও একজন জাপানি নভোচারী রয়েছেন। তারা মূলত পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ও হালকা কিছু কাজ করে ২০১৭ সালের শেষ সাপ্তাহিক ছুটি কাটাবেন। এরপর নববর্ষের দিন তারা থাকবেন ছুটিতে।
নববর্ষের আগে নভোচারীরা জীববিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করছেন। মহাকাশে ভেসে বেড়ানোর সময় কীভাবে নভোচারীদের স্বাস্থ্য আরও ভালো রাখা যায় সে বিষয়ে ডাক্তারদের সাহায্য করছেন তারা। জাপানের নভোচারী নোরিশিগে কানাই মহাকাশে কতটা শারীরিক পরিশ্রম করা যায়, সেই গবেষণায় অংশ নিচ্ছেন। এ জন্য তিনি ব্যায়াম করার একটি সাইকেল ব্যবহার করেন।
এ সময়, ডাক্তাররা মহাকাশচারীদের শ্বাসপ্রশ্বাস ও অন্যান্য শারীরিক প্রক্রিয়ার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। একজন নভোচারী স্পেস ওয়াক বা মহাকাশে ভেসে চলা ও জরুরি অবস্থায় শারীরিক পরিশ্রম করতে কতটা সক্ষম তা আন্দাজ করতে তারা এই গবেষণা চালাচ্ছে। একই সাথে ন্যূনতম মাধ্যাকর্ষণে গাছ কিভাবে পরিবর্তিত হয় তাও গবেষণা করছেন স্পেস স্টেশনের বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে আইএসএস পৃথিবীর কাছে থেকে গ্রহটিকে প্রদক্ষিণ করছে। কিন্তু, নাসা নভোচারীদের আরও দীর্ঘ মেয়াদি অভিযানে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। ওই সময় নভোচারীরা যেন মহাশূন্যে সুস্থ থাকেন ও নিজেদের রসদ উৎপাদন করতে পারেন সে জন্য এসব গবেষণা চালাচ্ছে তারা।