Sun. Jun 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

ধার করা প্রজনন কর্মী দিয়েই চলে মহিষের প্রজননখােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৮: নিজস্ব প্রজনন কর্মী নেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর দুধ উৎপাদনকারি প্রাণি মহিষের। ধার করা প্রজনন কর্মী দিয়েই চলে মহিষের প্রজনন কাজ।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন প্রকল্পের ডেজিগনেটেড পিডি ডা. মো. আতাহার হোসেন বলেন, মহিষের আলাদা কোনো প্রজনন কর্মী না থাকায় মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কাজ আশানুরুপ হচ্ছে না। গরুর প্রজনন কর্মী দিয়েই চালাতে হয় মহিষের প্রজনন।

গরুর জন্য রয়েছে প্রায় ২০০০ প্রজনন কর্মী। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা নিজেদের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। তাদের দিয়ে মহিষের প্রজনন সম্ভব হচ্ছে না। মহিষের কৃত্রিম প্রজননের জন্য নিজস্ব কর্মী দরকার। ২০১৩ সালের আগে দেশে মহিষ উন্নয়ন নিয়ে ভাবনা ছিলনা। দেশে মহিষের উন্নয়নের জন্য ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো শুরু হয় মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন প্রকল্প। যা গত অর্থ বছরের জুন মাসে শেষ হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অবস্থার ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

বর্তমানে দেশে মহিষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৭১ হাজার। ২০০৭-২০০৮ এ দেশে মহিষের সংখ্যা ছিল ১২ লাখ। প্রয়োজনের তাগিদে ওই প্রকল্পটি আবারও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটির ডিপিপি তৈরী হচ্ছে। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে মহিষের জাতের উন্নয়ন ঘটিয়ে দুধ ও মাংসের উৎপাদন বাড়ানোই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দেশে মহিষের উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। ইতিপূর্বে শেষ হয়ে যাওয়া প্রকল্পের আওতায় ইটালী থেকে মেডিটারিয়ান মুরাহ জাতের ২৪,০০০ মাত্রা উন্নত ষাঁড়ের হিমায়িত সিমেন সংগ্রহ করা হয়। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত এই সিমেন দিয়ে প্রকল্পভূক্ত ৩৯টি উপজেলায় ১৮৫০টি গাভি মহিষকে কৃত্রিম প্রজনন করনো হয়। এতে ২৪৩টি গাভী মহিষ গর্ভধারণ করে এবং বাচ্চা হয় ২৫০টি। এছাড়া ওই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭টি বিভাগের ১৪ জেলার ৩৯টি উপজেলার ৩৩১৫ জন মহিষ পালনকারি কৃষক-কৃষানীকে ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ কাজ বাস্তবায়ন করা হয়।