খােলা বাজার২৪। সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮:প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ইন্টারনেটে গতি কমানোর সিদ্ধান্তের পর পরীক্ষামূলকভাবে তা টেস্টিংয়ে করা হয়। এতে ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট স্পিড কম ছিলো। আইএসপি ও মোবাইল অপারেটরগুলোতে ২৫ কেবিপিএস (কিলোবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ সরবরাহর কারণে কার্যত বন্ধই ছিল ইন্টারনেট। কোন ওয়েব পেইজ লোড হচ্ছিলো না। কোন কিছু সার্চ দিলেও ওয়েবপেজগুলো কেবল ‘লোডিং’ দেখাচ্ছিল।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সবসময় সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করি। ইন্টারনেটের গতি ধীর করার সিদ্ধান্ত সরকারের। ভালো কিছুর জন্যই এটা করা হয়েছে।’
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, রবিবার রাত ১০টার পর আধাঘণ্টার জন্য তারা ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারেননি। এসময় গণমাধ্যমকর্মীরাও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেননি। বিশেষ করে এই সময় সমস্যায় পড়েছেন ইন্টারনেটনির্ভর বিভিন্ন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
ফেসবুককেন্দ্রিক ই-কমার্স উদ্যোক্তা সাবরিনা আক্তার বলেন, ‘মাথা ব্যথার কারণে মাথা কেটে না ফেলে চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। এভাবে হঠাৎ আমাদের বিপদে ফেলার কোনও মানে হয় না। প্রস্তুতি না থাকায় অনেক কাজ আটকে গিয়েছিল।’
অ্যাপনির্ভর চলো’র প্রধান নির্বাহী দেওয়ান শুভ বলেন, ‘কাজ করছিলাম, হঠাৎ দেখি নেট (ইন্টারনেট) নেই। পিসি রিস্টার্ট দিয়েও দেখি কাজ হয় না। কল সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়। বড় ধরনের সমস্যা হয়ে গেলো। এখন শুনলাম, পরীক্ষার দিনগুলোতে আড়াই ঘণ্টা করে নেট থাকবে না। অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। কীভাবে ম্যানেজ করব, বুঝতে পারছি না।’
দৈনিক মানবজমিনের অনলাইন বিভাগের একজন কর্মী বলেন, ‘রাত ১০টার পর থেকে ইন্টারনেট সংযোগ ছিল না। আমরা এই সময়ে কোনও ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারিনি এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনও ধরনের যোগাযোগ করতে পারিনি।’
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট সেবার গতি ধীর করা হয়েছিল। রবিবার রাত হওয়ায় খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। দিনের বেলা হলে ক্ষতির মাত্রা বেশি হতো।’ এই সময়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগ বন্ধ থাকা ছাড়া বিশেষ ক্ষতি হয়নি বলে মনে করছেন তিনি।