Fri. Oct 17th, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪। শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮:  সৎমামার বিরুদ্ধে স্কুলপড়ুয়া কিশোরী ভাগনিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের কারণে মেয়েটি এখন ৩৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে অভিযোগ করেছে মেয়েটির পরিবার। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত নয়টার দিকে মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে সৎমামার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে সৎমাকেও আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায়।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটির স্থানীয় এক স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা সৎমামার নাম আবু হাসান (১৯)।

ওই স্কুলছাত্রী, তার পরিবার ও মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মেয়েটির বাবা কয়েক বছর ধরে চাকরিসূত্রে সৌদি আরবে রয়েছেন। আট-নয় বছর আগে শিশু অবস্থায় মেয়েটিকে রেখে তাঁর মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান। এরপর চার বছর আগে সৎমা রোজিনাকে বিয়ে করেন বাবা। বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় সৎমা রোজিনা এক বছর ধরে তাঁর ভাইকে বাড়িতে এনে রাখছেন। হাসান একা ঘরে থাকলে স্বপ্নে তাকে ‘বোবায়’ ধরে এমন অজুহাতে রোজিনা মেয়েটিকে মামার ঘরেই থাকার জন্য অনুরোধ করেন। মেয়েটি জানায়, এক রাতে ঘুমানোর পর ওই সৎমামা তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি পরের দিন তার সৎমাকে জানালেও তিনি কান দেননি। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

মেয়েটি এখন ৩৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় একটি ক্লিনিকের চিকিৎসক।

মেয়েটির চাচা অভিযোগ করেন, তিন মাস ধরে বিষয়টি জানাজানি হলেও আবু হাসান ও তার বোন বিষয়টি আমলে নেননি।

এদিকে আবু হাসান সাংবাদিকদের কাছে তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, মেয়ের চাচারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুইয়া মুঠোফোনে বলেন, আজ (শুক্রবার) রাত নয়টার দিকে মেয়ে ও মেয়ের চাচা থানায় হাজির হয়ে একটি মামলা করেছেন।  প্রথম আলো