Tue. May 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। সোমবার, ০৫ মার্চ, ২০১৮:  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহনশীল কর্মসূচি পালনের নির্দেশ ও দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা মোকাদ্দমার ভয়ে নির্বাচনী বছরে হার্ডলাইনে যাচ্ছে না বিএনপি। এর বিপরীতে জনগণকে আস্থায় নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে এগিয়ে নেবে। এজন্য দীর্ঘ মেয়াদে সহনশীল কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে বিএনপি। খালেদা জিয়া মুক্তির ইস্যুতে মানুষের সহনুভূতিকে কাজে লাগানো এবং এই ইস্যুকে ধীরে ধীরে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন আদায়ের আন্দোলনে পরিণত করার পরিকল্পনা করছে দলের নীতিনির্ধারকরা।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের পথ শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক পথ যদি তারা রুদ্ধ করে দেয়, যেটা তারা চেষ্টা চালাচ্ছে। তখন দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে সে আন্দোলন কি রুপ নেবে, সেই আন্দোলনের চরিত্র কি হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে আমাদের তো পরিকল্পনা আছে। আমরা এখন বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। জেলা উপজেলা পর্যায়ে আমরা জনসভা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেখানে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা যাবেন। এরফলে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত একটা সেতুবন্ধন রচিত হবে যা দলকে আরো বেশী সুসংগঠিত করবে।

এছাড়া নির্বাচনী বছরে বড়ধরণের কর্মসূচিতে না গিয়ে দলের মধ্যে শক্তি সঞ্চয় করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। একদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন অন্যদিকে নির্বাচনের অংশ নেওয়ার মত সব ধরণের প্রস্তুতি থাকবে দলটির। এছাড়া বিএনপি দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরির্বতনের যে আভাস ইতিপূর্বে দিয়েছে খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার পর তার মুক্তির যে আন্দোলন করছে সেখানে একেরপর এক অহিংস ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে।

দলটির নেতারা মনে করেন এসব কর্মসূচি দেশ বিদেশে ও জনগণের মধ্যে সমর্থন পাচ্ছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন ও পরবর্তী বছরে আন্দোলনের নামে দেশে যে জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে তার দায় বিএনপির কাঁধে চাপে। এবার যাতে তেমনটা না হয় সেদিকে সর্তক নজর রেখে এগুচ্ছে বিএনপি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন মনে করেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধীরে ধীরে জনগণকে বোঝাতে চেষ্টা করছি যে এই মামলাটি সর্ম্পূণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা। খালেদা জিয়াকে হয়রানি করতে ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্রেরই অংশ। তিনি বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই স্বৈরচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবো এবং শেষ পর্যন্ত জনগণের বিজয় হবে। নিরপেক্ষ সরকারে অধিনে নির্বাচনের যে দাবি তা থেকে বিএনপি পিছপা হবে না।

দলের অপর ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর পর সাধারণ মানুষের মধ্যে তার প্রতি এতো সহনুভূতি তৈরি হবে সেটা তারা আগে বুঝতে পারেনি। সেই কারণে তারা হিটলারি কায়দায় কিভাবে বিরোধী দলকে নিধন করা যাবে এটা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। বিএনপি অনেক বেশী ঐক্যবদ্ধ এবং সংগঠিত।