খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ০৬ মার্চ, ২০১৮: মেহেদী হাসান (জবি প্রতিনিধি):জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবির) প্রথম বর্ষের চারজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ছাত্ররা হলেন এলিন শেখ, কামাল আহমেদ, মো: আশিকুর রহমান, মো: রাজু আহমেদ। এলিন শেখ এবং কামাল আহমেদ জবির ভূমি ব্যবস্থাপনা (ল্যান্ড-ল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) বিভাগের ছাত্র। মো: আশিকুর রহমান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এবং মো: রাজু আহমেদ লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী। চারজনই প্রথম বর্ষে (২০১৭-১৮ সেশনে) জবিতে ভর্তিরত। তারা নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলেও জানা যায়।
এলিন শেখ: খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলিন শেখ দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি হয়। রোববার এলিন শেখকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করে জবি প্রশাসন। লিয়ন নামের এক ব্যক্তিকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে এলিনকে ভর্তি করানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড করার সময় একাডেমিক শাখা ও আইটি শাখায় তার ছবির গরমিল পাওয়ায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সির সত্যতা পাওয়ায় তার মোবাইল ও মূল সনদপত্র জব্দ করে বিশ্ববিদ্যালয়। মো: রাজু আহমেদ: লোক প্রশাসন বিভাগের এই শিক্ষার্থী ২ লাখ টাকায় বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল রশিদের সাহায্যে প্রক্সি দিয়ে জবিতে ভর্তি হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। রাজুর পিতার নাম মো: নুরুজ্জামান এবং সে জবির ভর্তি পরীক্ষায় ‘ডি’ ইউনিটে ২৪৭ মেরিট অবস্থান নিয়ে ভর্তি হয়। অশিকুর রহমান : রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থীর পিতার নাম আনিসুর রহমান এবং মাতার নাম আউলিয়া আক্তার। জবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তিতে তার মেরিট অবস্থান ছিল ৩৯৭। কামাল আহমেদ: জবির ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী কামালের পিতার নাম গোলাম মো¯তফা এবং মাতার নাম যমুনা খাতুন। জবির ২০১৭-১৮ সেশনের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তার মেরিট অবস্থান ছিল ৫৬৩।
ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে জালিয়াতি প্রমাণ হওয়ায় বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন উক্ত চারজন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বর্হিস্কার করে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. সাইদুর রহমান বাদী হয়ে পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলা করে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেন। জবি প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদকে অনেকবার ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি