নিরাপত্তার স্বার্থে শাবিপ্রবিতে তৈরি হবে সীমানাপ্রাচীর
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমানাপ্রাচীর না থাকায় প্রায়ই ঘটছে চুরি-ছিনতাই ও হামলার ঘটনা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৭ বছরেও নির্মাণ হয়নি সীমানাপ্রাচীর। গত ৩ মার্চ ড. জাফর ইকবালের ওপর বহিরাগত এক যুবকের হামলার ঘটনায় পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এদিকে সীমানা প্রাচীর না থাকায় বিভিন্ন দিকে বেদখল হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রাচীর না থাকাকে চরম হুমকি বলে মনে করেন প্রক্টরও।
১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ৩২০ একর। টিলা-পাহাড় বেষ্টিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনও সীমানাপ্রাচীর। ফলে যে কেউ যে কোনও সময়েই চাইলেই ঢুকে যেতে পারে ক্যাম্পাস এলাকায়।
বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় ছিল বহিরাগতদের উপস্থিতি। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিয়মিতই চুরি ও ছিনতাইয় হচ্ছে বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের। তাই এসব কারণে এক মাসের মধ্যে সীমানা প্রাচীরের নির্মাণকাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চার পাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠদের সাথে কথা বলা হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গাটি বড় হওয়াতে ভাগ ভাগ করে কাজ করা হবে।
প্রাচীর নির্মাণ ছাড়াও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো এলাকাকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বহিরাগতরা মূল গেট দিয়ে ঢোকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য জায়গা যেমন-রাস্তা ও মাঠ দিয়ে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে খুব সহজে। শুধু জাফর ইকবাল স্যারের ওপরে যে হামলা হয়েছে তা নয় আরো এমন অনেক ঘটনা ঘটছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেট টিভি