খােলা বাজার২৪।বৃহস্পতিবার, ০৮ মার্চ, ২০১৮ (রাজশাহী প্রতিনিধী) বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে রাজশাহীতে অবস্থান কর্মসুচী পালিন করেছে জেলা বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে বেলা ১১টায় জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড: তোফাজ্জল হোসেন তপুর সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী নগরের মালোপাড়া এলাকায় এ কর্মসুচী পালন করে।
জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জাল হোসেন তপু বলেন, বর্তমান সরকার বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে মামলায় জর্জরিত করেছে। নির্বাচনের বাহিরে রাখতে খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে কারাগারে রেখে দিয়েছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাদের নেতাকর্মীদের দেখা করতেও বাধা দিচ্ছে। তার জামিন নিয়ে তালবাহানা শুরু করেছে। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও এ সরকারের পতন ঘটনানো হবে।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, আওয়ামী লীগ জণবিচ্ছিন্ন বলেই মিথ্যা মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে দমিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে, দেশমাতা খালেদা জিয়াকে পরিত্যক্ত কারাগারে পাঠিয়ে মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সরকার।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অবস্থান কর্মসুচীতে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-সম্পাদক রায়হানুল আলম রায়হান, ওয়াদুদ হাসান পিন্টু , মোহনপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামিমুল ইসলাম মুন, দূর্গাপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম সাকলাইন, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি আমিনুল হক সিদ্দীক মিন্টু, পবা উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক শাজাহান আলী, নওহাটা পৌর বিএনপি সভাপতি আব্দুল হামিদ, কাটাখালী পৌর বিএনপি সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, মোহনপুর উপজেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আর রশিদ, কেশরহাট পৌর বিএনপি সাধারন সম্পাদক খুশবুর রহমান, নএহাটা পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মামুনুর সরকার জেড ।
আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবু সুফিয়ান,পল্লী বিষয়ক সম্পাদক আলী হোসেন,সহ-দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জোহা সরকার বাদশা, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, জেলা বিএনপি কোষাক্ষ্যক সদর উদ্দীন, জেলা বিএনপি সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দীন, জেলা মহিলাদল সভাপতি রোকসানা বেগম টুকটুকি, জেলা বিএনপি মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সামসাদ বেগম মিতালী, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র-সহ-সভাপতি শাহরিয়ার আমিন বিপুল, জেলা বিএনপি সদস্য আকবর হোসেন সরকার, পবা উপজেলা বিএনপি যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক, জেকের মন্ডল, বকুল আহম্মেদ, মোজাফফর হোসেন, দূর্গাপুর উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র-সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান লালবু, দূর্গাপুর সাবেক পৌর মেয়র সাইদুর মন্টু, দূর্গাপুর পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রন্জু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকের সিনিয়র-যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত এলাহী রিজভী, জেলা ছাত্রদল নেতা, মাহফুজুর রহমান মিতু, পিয়াস আলী, শাহরিয়ার হোসেন সাজ্জদ, মহিলাদল নেত্রী সৈয়দা রুমানা হক, ফরিদা পারভীনসহ শত শত নেতাকর্মী ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার পর থেকেই পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।