Tue. Sep 16th, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪।শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮ঃ নরসিংদী প্রতিনিধি(মোঃরাসেল মিয়া) ইট ভাঙ্গার শ্রমের মজুরীর টাকায় সংসার চলছে হাসনাবাদের তাসলিমার। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামে তার স্ব^ামীর বাড়ী। ৫ বছর যাবৎ ইট ভেঙ্গে ৪ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করছে। সারা বছর ইট ভাঙ্গা কাজ থাকে না। এ সময় অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাতে হয় তাদের। তবুও আত্মসম্মান মূলক কাজ নিয়ে বেঁচে থাকার ইচ্ছে হচ্ছে গৃহবধূ তাসলিমা। প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার দিন ‘সত্যের গল্প’ নামে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় এ সপ্তাাহের সত্যের গল্প-৫ হচ্ছে, ইট ভাঙ্গার টাকার সংসার চলে তাসলিমার। হাসনাবাদ বাজারে খোয়া ভাঙ্গার সময় তাসলিমার সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। গত তিন মাস যাবৎ মসজিদ নির্মান কাজে খোয়া ভাংছে। এ কাজের ফাকে এলাকা বাইরে ঝি কাজ করে থাকে। উপজেলার হাসনাবাদ, আমিরগঞ্জ সাড়া গ্রামে ইটভাঙ্গা কাজ করে থাকে। প্রতিবর্গফুট খোয়ার মজুরী হচ্ছে ১৮ টাকা।

গড় হিসাবে দৈনিক ১২ বর্গফুট ইট ভেঙ্গে খোয়া করতে পারেন। বর্তমানে হিসাবে দৈনিক ২১৬ টাকা আয় হলেও মাসের সবদিন কাজ পাওয়া যায় না। ইটভাঙ্গা শ্রমের কাজ কঠিন হলেও শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকায় তেমন মনে কষ্ট নিচ্ছে না তাসলিমা। সংবাদ কর্মীর সহিত আলাপচারিতায় জানা যায়, একই এলাকায় তার পিতার বাড়ি। এ সময় প্রতিবর্গ ফুট ১৫-১৯ টাকা। দৈনিক ২১৬/২২০ টাকা আয় হলে তা দিয়ে পরিবারের খরচ যোগার করতে চেষ্টা করে।

যেদিন কাজ সেদিন আহার। তা না হলে ধারকর্জ  চলতে হয় কিংবা ছেলেমেয়েকে নিয়ে অনাহার থাকতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে বাসায় ঝি কাজ করতে ভুল করে না। প্রয়োজন টাকার। লজ্জার কিছু নয় বাঁচতে চাই। অনেকে অনেক কথা বলছে। তিন সন্তানের আহার যোগার করতে গিয়ে প্রতিবেশীর কথার দিকে খেয়াল নেই। আলাপচারিতা সময় যতোই বাড়ছে তাসলিমার দু:খের স্মৃতি ততোই বলছে, স্বামীর তোলা ঘরে সারাদিন কাজ শেষে রাতে আশ্রয় নেয়।

এ সময় সংবাদ কর্মীকে বলেন ব্যবসা করার ইচ্ছে কিসের ব্যবসা জানতে চাইলে বলেন, গ্রামের কাজের অভাব তবে ভ্রাম্যমান কাপড়ের ব্যবসা করা যেতে পারে। এ কাপড়ে ব্যবসা করতে হলে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা প্রয়োজন। পূঁজির অভাবে এ কাপড়ে ব্যবসা ইচ্ছে পূরন করতে পারি না। আতœ সম্মান নিয়ে সমাজে একটু ভালো ভাবে বেঁচে থাকাটাই আমার শেষ ইচ্ছে।