Thu. Sep 18th, 2025
Advertisements

খোলাবাজার২৪.বৃহস্পতিবার ০৯ আগস্ট , ২০১৮ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় রিমান্ডে থাকা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

 

আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।

 

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন, ড. শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

 

এর আগে শহিদুল আলমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত দিনের রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে ও তার সুচিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ। সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ৭ আগস্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে রমনা থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি বোর্ড গঠন করে আজ সকাল ১০টায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল শহিদুল আলমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখির করেন। সেই প্রতিবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।

 

উল্লেখ্য, ‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট’ করার অভিযোগে রবিবার রাতে শহিদুল আলমকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল। পরে রমনা থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে সোমবার নিম্ন আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করে ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

বাংলাদেশের ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম।