খোলাবাজার২৪. শুক্রবার ,০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ : মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর সংঘটিত অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আছে। বৃহস্পতিবার আইসিসি এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিচারের বিষয়ে আইসিসির প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদার একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে আইসিসি এই রুলিং দিয়েছে। তবে এখনও বিচারের জন্য আনুষ্ঠানিক কোনও আবেদন করা হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে বেনসুদার কোনও প্রতিনিধির বক্তব্যও নিতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
হেগ ভিত্তিক আইসিসির সদস্য নয় মিয়ানমার। তবে আদালত বলেছে, যেভাবে এই নির্যাতনের ভয়াবহতার প্রভাব বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়েও পড়েছে সেটাই এ বিষয়ে বিচারের জন্য যথেষ্ট এখতিয়ার দিয়েছে। কারণ বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য।
মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
তবে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ কেভিন জন হেলার রয়টার্সকে বলেন, এই সিদ্ধান্তের পর এখন প্রসিকিউটরকে প্রাথমিক তদন্ত শুরুর জন্য একটি আবেদন করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বিচারের এখতিয়ার আইসিসির আছে কি না তা জানতে চেয়ে গত এপ্রিলে বেনসুদার পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়। পরে ২৭ জুলাই এর মধ্যে মিয়ানমারকে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলে আইসিসি।
জবাব না দিলেও মিয়ানমারের স্টেট ডি ফেক্টো অং সাং সূচির অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আইসিসির কৌঁসুলি ফাতোও বেনসুদার ওই আবেদন মিয়ানমারের ওপর বিচারিক এখতিয়ার পাওয়ার একটি পরোক্ষ চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে, যদিও মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যই নয়।
তাই এই আবেদনকে ‘অসার’ আখ্যা দিয়ে তা খারিজ করে দেয়া উচিত বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
গত বছর রোহিঙ্গা পল্লীতে সেনা অভিযানের পর থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখ শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই অভিযানকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘জাতিগত নির্মূল’ প্রচেষ্টা বলে আখ্যা দেয়। এখন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১ লাখ।