খোলা বাজার ২৪. বৃহস্পতবার ,১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮: ১৯ সেপ্টেম্বর এ। ক্রিকেটের সবচেয়ে উত্তেজনাকর লড়াইগুলোর একটি। অথচ গত পাঁচ বছরে এই দুই দল ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে মাত্র চারবার
গত পাঁচ বছরে ভারত-পাকিস্তান ওয়ানডে হয়েছে মাত্র চারটি! অথচ ক্রিকেট বিশ্বে এ এক পরম প্রার্থনীয় দ্বৈরথ। সবাই ব্যাকুল হয়ে তাকিয়ে থাকে এই লড়াইয়ের দিকে। কিন্তু দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক এত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, এবারের এশিয়া কাপটাই যেমন ভারতে হাওয়ার কথা থাকলেও সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে আরব আমিরাতে। আইসিসি বা এসিসির টুর্নামেন্ট ছাড়া তাই দুই দলের দেখা হয় না। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর এবার এশিয়া কাপে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।
একসময় দুই দল নিয়মিত খেললেও পাকিস্তানের এই দলের খুব বেশি খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা নেই ভারতের বিপক্ষে খেলার। কথাটা যুজবেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদবদের বেলাতেও খাটে। পাকিস্তানের পেসার ফাহিম আশরাফ যেমন এই প্রথম ভারতের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। আর তাতে তিনি রোমাঞ্চিত, ‘প্রত্যেক পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের স্বপ্ন আর আশা থাকে ভারতের বিপক্ষে খেলার, ভালো পারফর্ম করার।’
কেন স্বপ্ন, সেটিও ব্যাখ্যা করেছেন ফাহিম। এই এক ম্যাচে ভালো খেললে যে রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠা যায়। সেই সুযোগ ফাহিমরা পাচ্ছেন ১৯ সেপ্টেম্বর। এই ম্যাচ নিয়ে এই পেসার বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি খেলছে না, তারপরও ভারত বিশ্বসেরা এক দল। তাদের এতটুকু হালকা করে নেওয়ার সুযোগ নেই। খেলোয়াড় হিসেবে আমার লক্ষ্য সব সময়ই থাকে ৫ উইকেট নেওয়া। কিন্তু সেদিন কী করব, তা নির্ভর করবে ওই দিনের পারফরম্যান্সের ওপর।’ তবে এর আগে একাদশে সুযোগ তো পেতে হবে। ফাহিমের কথা, একাদশে জায়গা পাবেন কি পাবেন না, সে সিদ্ধান্ত তো আর তিনি নেবেন না। নেবেন কোচ, অধিনায়ক। তিনি যা করতে পারেন, সেই কঠোর পরিশ্রমটা করে যাচ্ছেন। বাকিটা দলের নীতিনির্ধারকদের।
এই ম্যাচে পাকিস্তান এগিয়ে থাকবে বলেও মনে করেন ফাহিম, ‘আমাদের সব কটি হোম সিরিজ আমরা আরব আমিরাতে খেলি। এ কারণে বাড়তি সুবিধা আমরা পাব। এশিয়া কাপ অনেক বড় টুর্নামেন্ট। হোম অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগাতে হবে, আবার আমাদের শতভাগ দিতেও হবে।’
চেনা কন্ডিশন বলেই যে পাকিস্তান নির্ভার ছিল, এমন নয়। বরং আরব আমিরাতের চেনা কন্ডিশনকেও আরও বেশি পরিচিত করে তোলার খাটুনিও খেটেছে। ফাহিমের কাছেই জানা গেল, ‘লাহোরে অনুশীলন ক্যাম্পের আগে আমরা অ্যাবোটাবাদে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অনুশীলন করেছি। লাহোরের অনুশীলনটা ছিল গরম আবহাওয়ায়। যেন দুবাইয়ের সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারি।’