Tue. Sep 23rd, 2025
Advertisements

 

খোলা বাজার ২৪, রবিবার,  ১৪ অক্টোবর ২০১৮ঃ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের ২৫ দিনের মাথায় পিলখানায় বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর, বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি) সদর দফতরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের দিন খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাসায় ছিলেন। ওই দিন সকাল ৭টায় খালেদা জিয়ার কাছে গিয়ে তার বড় ছেলে তারেক বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। ওই দিনই খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে দিয়ে আন্ডারগ্রেউন্ডে চলে যান। একমাসেও তিনি আর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় যাননি। কেন যাননি— সে জবাব খালেদা জিয়াকে দিতে হবে।

রোববার (১৪ অক্টোবর) মাদারীপুরের শিবচরে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িত, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, ওই দিন যে ৫৭ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে, তার ৩৩ জনই আওয়ামী পরিবারের।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে ‘খুনি পরিবার’ আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া পরিবার খুনি পরিবার। তারা যখনই সুযোগ পেয়েছে, মানুষ খুন করেছে। শুধু মানুষ খুন না, মানুষ গুম করেছে। আমাদের হত্যার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া মিলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে। ওই দিন তারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। তবে আইভী রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। তারা খুনি। গ্রেনেড হামলার আলামত না রেখেই তারা জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, তারেক জিয়া এখন গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছি যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে পেরেছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও হয়েছে। এবার গ্রেনেড হামলার মামলার বিচারও আমরা করতে পেরেছি।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে মানুষ নির্যাতিত হয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তারা দক্ষিণবঙ্গে মানুষের ওপর কেমন নিপীড়ন চালিয়েছিল, তা আপনারা দেখেছেন। তারা বাগান লুট করেছে, মা-নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করেছে। সেই বিএনপি-জামায়াতই ২০১৪ সালের নির্বাচনে অগ্নিসংযোগ করেছে, মানুষ মেরেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে মানুষ আর চায় না। সেটা আপনারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছেন। ২০১৪ সালেও মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছে।