খোলা বাজার ২৪, রবিবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৮ঃ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, যুদ্ধাপরাধকে সাথে নিয়ে, স্বীকৃত দুর্ণীতিবাজদের সাথে নিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধারের ঘোষণাটা হচ্ছে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের জাতির সঙ্গে ঠাট্টা-মশকরা করা।
রোববার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করেএসব কথা বলেন।
৭ দফা এবং ১১ দফা লক্ষ্যের আড়ালে দুর্ণীতিবাজ, জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার একটি প্রকল্প, একটি অস্বাভাবিক সরকার আনার প্রস্তাব। এটা জোট নয়, এটা ঘোট। এই ঘোট পাকানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করত্ব চাচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ঐক্যের ৭ দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষের ভেতর কিছু অমিশন আছে আর কিছু কমিশন আছে। কিছু জিনিস উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে উনারা বাদ দিয়েছেন এবং কিছু জিনিস উদ্দেশ্যমূলকভাবে যোগ করেছেন। ড. কামালরা জামাতের সঙ্গে বিএনপির দৃড় ঐক্যের বিষয়ে তারা নিরব। রাজাকারদের সাথে বিএনপির সম্পর্কের বিষয়ে নিরব।
তিনি বলেন, এই ৭ দফার প্রথম সারকথা হচ্ছে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিত তৈরি করে ভোটের আগে একটি অস্বাভাবিক সরকার আনা। যার কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই। দ্বিতীয় সারকথা হচ্ছে চিহ্নিত, স্বীকৃত, সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ, জঙ্গি-সন্ত্রাসী, আগুন সন্ত্রাসী, একাত্তরের খুনীদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনে আবার পূনর্বাসন করার প্রস্তাব।
নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসী ক্ষমতা দেয়ার ঐক্যফ্রন্টের দাবি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা অসাংবিধানিক। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা এবং রাজনীতিতে প্রবেশ করানোর একটি প্রস্তাব। এটা দুক্ষজনক প্রস্তাব।
রাজবন্দিদের মুক্তির ঐক্যফ্রন্টের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো রাজবন্দি নাই। খালেদা তারেক স্বীকৃত ও চিহ্নিত অপরাধী। তাদের মুক্ত করতেই জোটের এই ৭ দফা।
তিনি আরও বলেন, ৭ দফা প্রস্তাব নিয়ে যারা একত্রিত হয়েছেন তারা শেখ হাসিনার সরকারকে মাইনাস করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন এবং রাজাকার, বিএনপি এবং জঙ্গিদের রাজনীতিতে প্লাস করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। এটা জাতী এবং রাজনীতির জন্য দুক্ষজনক।