খোলা বাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,০১ নভেম্বর ২০১৮ঃ মোঃরাসেল মিয়াঃ নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামের মৃত আমজাদ আলী আফ্রাদের পুত্র সন্ত্রাসী রতন আফ্রাদ এর বিচার দাবীতে স্থানীয় মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী সাংবাদিক সম্মেলন করে। বৃহস্পতিবার শিবপুর প্রেস ক্লাবে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন আলম আফ্রাদ।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, রতন আফ্রাদ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত নানা অপকর্ম করে আসছে। তার অপকর্মের কারণে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। সে গ্রামের মানুষের মাঝে বিভিন্ন কৌশলে মামলা মোকদ্দমা লাগিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। তাছাড়া নিজে জমি বেচা কেনা করে অপর পক্ষের সাথে প্রতারনাও করেছে। শিবপুরের বিগত সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঞা মোহন খড়িয়া কবিরপুর নতুন জামে মসজিদে টিআর বরাদ্দ দিয়েছিলেন। কিন্তু উক্ত টি আরের বিক্রিত টাকা মসজিদে জমা না দিয়ে রতন আফ্রাদ আত্মসাৎ করে ফেলে। ফলে এনিয়ে গত ২২ অক্টোবর ধানুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সালিশ অনুষ্ঠিত হয়।
সালিশে স্থানীয় মাছিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হারিছ রিকাবদার, আওয়ামীলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ, যুবলীগ নেতা শেখ কামাল, ধানুয়া গ্রামের সমাজ সেবক রিপন, সহ এলাকার গন্যমান্যব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সালিশে ১২হাজার টাকা দেয়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সালিশে টাকা দেয়ার কথা মেনে গেলেও ঐদিনই রতন আফ্রাদ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও তার সহযোগি ওসমান, পিতাঃ হারিছ, ইলিয়াছ, পিতা: মতিউর রহমান, সিজন, মাজহারুল, মানিক, দোলন, খালিলসহ ৮/১০ নিয়ে মসজিদের বর্তমান সভাপতি মোঃ শাহজাহান আফ্রাদকে তার বাড়ীতে গিয়ে মারপিঠ করে গুরুতর আহত করে।
এসময় শাহজাহানের ডাক চিৎকার শুনে আশ পাশের লোকজন ছুটে এলে রতন পালিয়ে যাওয়ার পথে তার কাছে থাকা একটি চাইনিজ কুরাল রেখে দেয়। পরে কুরালটি স্থানীয় ইউপি মহিলা সদস্য রেহেনার কাছে জমা রাখা হয়। শাহজাহান বর্তমানে শিবপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। রতন আফ্রাদ তার আপন চাচাতো ভাইদের প্রায় ৯ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয়। তাছাড়া রতন আফ্রদা একই গ্রামের মোক্তার গংদের নিকট জমি বিক্রি করে।
কিন্তু যে পরিমাণ জমি বিক্রি করে টাকা নিয়েছে সে পরিমাণ জমি দলিল করে দেয়নি। তাছাড়া একই গ্রামের জবান খা অপরের কাছ থেকে জমি পাবে এমন কথা বলে ২০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নিয়ে জমি বের করে দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি। রতন আফ্রাদের সহযোগী সিজন একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাকে এ পর্যন্ত দুই গ্রেফতার করা হয় । তাছাড়া তার মা রুবীনা আক্তার এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। অপর সহযোগী ওসমানকে নরসিংদী সদর থানা পুলিশ অস্ত্রসহ ইতিপূর্বে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। আমরা রতনের এই অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে চাই।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিলন আফ্রাদ, শাহজাহানের ছেলে আওলাদ, জবান খান, আনোয়ার হোসেন আফ্রাদ, মাজহারুল, মোতালিব, মেজবাহ উদ্দিন, আওলাদ, জসিম উদ্দিন, মোক্তারসহ অনেকে।