Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলা বাজার ২৪,সোমবার,১২ নভেম্বর ২০১৮ঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোট জাতীয় নির্বাচনের ভোটের তারিখ পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের জন্য অত্যন্ত স্বস্তির বিষয় যে বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট, বিকল্পধারাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলাম। আমাদের বিশ্বাস ছিল, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। সেই আলোকে নির্বাচন কমিশন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৮ নভেম্বর, ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।’

পরে সন্ধ্যায় ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ তফসিল পুননির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। পুন:নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ তারিখ ২ ডিসেম্বর এবং প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ ডিসেম্বর।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা। সেখানে ২৩ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ ধরে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল, ২২ নভেম্বর বাছাই এবং ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ রাখা হয়।

এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় ভোটের পরদিন পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আজ এ নির্দেশ দেয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ‘মোবাইল কোর্ট আইন অনুযায়ী, ২০০৯-এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।

প্রতিটি উপজেলায় একজন, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভৌগোলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত প্রতি ৩ থেকে ৪টি ওয়ার্ডের জন্য একজন, সিটি কর্পোরেশন ছাড়া জেলা সদরে প্রতি পৌর এলাকায় এক থেকে দুইজন এবং পাবর্ত্য এলাকায় ভৌগোলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত ৩ থেকে ৪টি উপজেলার জন্য একজন করে নির্বাাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়া সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) সংশ্লিষ্ট উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে। যেসব সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মরত নেই, সেসব উপজেলায়, জেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারে কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে অথবা বিভাগীয় বা অন্য কোনো অফিস/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্বাচনের আচরণবিধি পালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়।