খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ০৩জানুয়ারি ২০১৯ঃসংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, ন্যান্সি নামে পরিচিত। তার সঙ্গীত জীবন শুরু হয় ২০০৬ সালে হৃদয়ের কথা চলচ্চিত্রের গান গেয়ে। ২০০৯ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ভালোবাসা অধরা মুক্তি পায়। ২০১১ সালে প্রজাপতি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি প্রথমবারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
২০০৬ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আবু সাঈদ সৌরভকে। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১২ সালের ২৪ মে ছয় বছরের সংসারজীবনের ইতি টানেন ন্যান্সি। সেই সংসারে রোদেলা নামে তাদের এক মেয়ে আছে।
তিনি পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নাজিমুজ্জামান জায়েদকে বিয়ে করেছেন। জায়েদ এবং ন্যান্সির সংসারেও নায়লা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। জায়েদ ময়মনসিংহ পৌরসভায় চাকরি করছেন এবং ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। কিন্তু বছরের প্রথম দিনই ভাঙনের সুর শোনা যায় ন্যান্সির বর্তমান সংসারে।
শোবিজ অঙ্গনে কান পাতলেই শোনা যায়, এ গায়িকা আর তার বর্তমান স্বামীর সঙ্গে থাকছেন না। দুই মাস ধরেই তারা আলাদা থাকছেন।
ন্যান্সি জানিয়েছেন, স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদের সঙ্গে কয়েক বছরের সংসারের পর গত দুই মাস যাবৎ আর একসঙ্গে থাকছেন না ন্যান্সি। তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়াতেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুজন মিলেই।
ন্যান্সি জানান, এই মুহূর্তে আমি ময়মনসিংহে আছি। জায়েদ ও আমি দুই মাস ধরে আলাদা থাকছি। অষ্ট্রেলিয়া সফর শেষে দেশে আসার পর থেকেই আমরা একসঙ্গে থাকছি না। জায়েদের বাসায় সে থাকছে আর আমার বাসায় আমি।
বড় মেয়ে রোদেলা থাকছেন ন্যান্সির সঙ্গে আর জায়েদের সঙ্গে থাকছেন ছোট মেয়ে নায়লা।
ন্যান্সি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট রয়েছে এখনও। নিয়মিতই আমাদের মধ্যে কথাও হচ্ছে। তবে আলাদা থাকার সিদ্ধান্তটাও আমাদের। ’
তিনি আরও বলেন, ‘জায়েদ অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ। যারা তাকে চেনেন তারা জানেন সে কতটা ভদ্র। আমার বড় মেয়ে রোদেলা ও ছোট মেয়ে নায়লাকে অসম্ভব ভালোবাসে জায়েদ। তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ কিংবা অভিমান নেই। তাকে আমি শ্রদ্ধা করি। সে অনেক দায়িত্ববানও বটে। এমনকি আমাদের মধ্যে এখনো কথা হয়, দেখা হয়। তবে আলাদা বাসায় থাকছি আমরা। সবকিছু ঠিক থাকলেও অনুভব করেছি আমাদের মধ্যে একটি অদৃশ্য ব্যবধান তৈরি হয়েছে। অত্যন্ত যান্ত্রিক হয়ে পড়েছিলাম আমরা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে সম্পর্ক থাকার কথা তার থেকে অনেকটা সরে আসছিলাম। তাই আমার মনে হলো আলাদা থাকলে বোধহয় ভালো হয়। এছাড়া আসলে আর কোনো কারণ নেই।’