কবিগুরুর এই রোমান্টিক গানখানির মতোই ভালোবাসার দিনে ভালোবাসার রঙ লেগেছে অমর একুশে বইমেলায়। বিনোদনপ্রেমী ও জ্ঞানপিপাসুদের পদচারণায় দুপুরের পর থেকেই মুখর হয়ে ওঠেছে মেলাপ্রাঙ্গণ। প্রেমিকযুগলদের পাশাপাশি এ দিনটিকে ঘিরে সব বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভিড় এখন বইমেলায়।
বসন্ত, ভালোবাসা দিবস আর বইমেলা- এই তিন যেন মিশে একাকার হয়ে গেছে ফাগুনের আগমনে। এদিন বইমেলায় অনেকে এসেছে পরিবার-পরিজন নিয়ে। শিশুরা এসেছে বাবা-মায়ের সঙ্গে। বন্ধু-বান্ধব ও প্রেমিক-প্রেমিকারও একসঙ্গে এসেছেন কেউ কেউ।
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমেল। রুমেলের কাছে ভালোবাসা দিবস মানে প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করা। প্রিয়জনকে একটু সময় দেয়া।
ঢাকা ইউনির্ভাসিটির ইকোনমিকস বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘পছন্দের মানুষকে মনের কথা বলার জন্য একটি দিন থাকা প্রয়োজন। পছন্দের মানুষের কাছে মনের কথা প্রকাশের জন্য এ দিবসটির দরকার আছে বলে আমি মনে করি।’
ভালোবাসা দিবসকে বিদেশি কালচারাল বলে মনে করেন একটি বেসরকারি কোম্পানির আইটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস নিয়ে নতুন প্রজন্ম উৎসব দেখালেও এটা বাঙালিদের কালচার নয়। বিদেশি কালচারাল। বইমেলার সাথে এ দিবসের কোনও সম্পর্ক নেই।’
ভালোবাসার এই দিনে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন শিলা আক্তার। তিনি একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। ভালোবাসা দিবস নিয়ে শিলা আক্তারের কাছে অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘প্রতিটা মানুষের জীবনে প্রকৃত ভালোবাসা থাকা প্রয়োজন। ভালোবাসা না থাকলে মানুষ বাঁচতে পারে না। আমি বাবা-মা, ভাই বোন ও বন্ধুদের ভালোবাসি। তাই প্রেমিকা নিয়ে নয়, বন্ধুদের নিয়ে ঘুরছি।’
এদিকে ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরতে আসা অনেককেই দেখা গেছে বইমেলায় কেনাকাটা করতে। তারা পছন্দের বই কিনছেন। প্রিয়জনকে বই উপহার দিচ্ছেন। প্রেম নিবেদনের এই দিনে বই হয়ে উঠেছে যেন ভালোবাসারই অনন্য অনুষঙ্গ।