শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিনা নাসরিন র্যালিটির নেতৃত্ব দেন। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর ছাত্রী সাফিয়া হক এর সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন হল প্রাধ্যক্ষ সেলিনা নাসরিন।
সভায় বক্তব্য প্রদান করেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আনিচুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের হাউজ টিউটর শাহবুব আলম।
এছাড়াও উক্ত হলের আবাসিক ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা বোস রাখি, রেখা আক্তার ঝুমাসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা নারী দিবসের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন।
অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, নারী-পুরুষ আলাদা বিষয় নয়, দক্ষতা যার আছে সেই সামনে এগিয়ে আসবে। জীবনে নারীর অবদানের স্বীকৃতি দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ৭ই মার্চের ভাষণ দিতে যাবেন তখন খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন যে তিনি ভাষণে কি বলবেন। তখন সঙ্গীরা ভিন্ন ভিন্ন চিরকুট উপস্থাপন করেন। এমতাবস্থায় বঙ্গবন্ধু খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন, এটি দূর থেকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব খেয়াল করেন যে ওনার স্বামী অস্থিরতায় ভোগছেন। তখন তিনি সামনে এগিয়ে এসে সবগুলো চিরকুট হাতে তুলে নিয়ে বলেন, দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় মনে যা আসে সেই কথাগুলো বলবে। বঙ্গবন্ধু চলে গেলেন ভাষণ দিতে, চিরকুট ছাড়া ভাষণ দিলেন। সেই ভাষণ আমাদের দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশ স্বাধীন করেছে এবং ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে জাতিসংঘে স্বীকৃত পেয়েছে। সুতরাং এ ভাষণের পিছনে হাত রয়েছে নারীর।
প্রক্টর আনিচুর রহমান বলেন, এক সময় নারী-পুরুষের ব্যবধান ছিল, এখন অনেক কমে আসছে। কমিয়ে আনার পিছনে যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।