Sat. Jun 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খোলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট,২০১৯ঃ  জামালপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর ও টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসী মানুষের। টানা কয়েকদিন ডুবে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। বন্যার পানিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলের জমি, মাছের ঘের ও গবাদি পশু খামারের।

জামালপুরে ভয়াবহ বন্যায় মৎস্য ও কৃষিখাতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৭টি উপজেলায় বন্যার কারণে ৪৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই ব্যাংক ঋণ নিয়ে মাছের চাষ করায় পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। কুড়িগ্রামে বাড়ি ঘর থেকে পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসী মানুষের। চারণভূমি দীর্ঘসময় পানিতে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে ঘাস ও খড়। দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট ।

গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হলেও পানি নেমে যাওয়ার পর পরই চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ায় চরম বিপাকে দুর্গতরা। শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলার বন্যা পানি নেমে যাওয়ায় জেগে উঠেছে বেশিরভাগ সড়কের ক্ষত চিহ্ন। রাস্তাঘাট চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।

এছাড়া টাঙ্গাইলে বন্যা কবলিত বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও এখনো বেশকিছু নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পানিতে ডুবে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।